কেন শরশয্যায় শায়িত ভীস্ম পিতামহের মতো স্বেচ্ছামৃত্যুকে কর আবাহন?
কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ এখনও হয়নি শেষ
দুঃশাসনের শেষ দেখে যেও যেখানে খুশী ইহলোক ছেড়ে অন্যকোনও লোকে।
দেখে যেও হঠাৎ কোনও সংঘবদ্ধ উন্মত্ত ঝড়ে উৎপাটিত হবে বিশাল গর্বোদ্ধত
বিষবৃক্ষগুলো,লন্ডভন্ড করে দেবে পাপের প্রাসাদ।
দেখবে সেদিন মৃত্তিকার বুক ছুঁয়ে পদতলপিষ্ট ঘাসগুলি আরও সবুজ হয়েছে
ফুলে ফলে উঠবে ভরে সাজানো বাগান
প্রজাপতি আর মৌমাছিরা সংগ্রহ করবে মধুরস গান গেয়ে
ভয়ভীতিহীন দুরন্ত শিশু ও কিশোর ছুটে বেড়াবে পার্কে আর উন্মুক্ত প্রান্তরে
যুবক যুবতী বৃদ্ধ বৃদ্ধা সকলেই মুখে হাসি
প্রেমের বাঁশির সুরে মুখরিত আকাশ বাতাস
ময়ুর ময়ুরী উঠবে নেচে মেঘের নির্ঘোষে
ময়ুখমালির আলোয় উদ্ভাসিত হবে সুকোমল আকাশের চাঁদ ঠিক আগের মতোই বসন্ত আসবে ফিরে
ধরণীটা হবে আবার সুখ শান্তিময় প্রেমের আকর
যদি ইচ্ছে হয় সেইদিন যেও মহাপ্রস্থানে পরমানন্দ সন্ধানে
উত্তরসূরির হাতে সপেঁ দিয়ে তোমার জ্ঞান গৌরব আর সম্পদের গুরুভার।
----------------------