হে কবি, হে পল্লীর ছবি হে কৃষকের কাণ্ডারি
তোমারি বিরহে আজ যে আমার আকাশ হয়েছে ভারী।
দেব দূত না তুমি! না তুমি ঈশ্বরের হাত
পল্লীর জ্যোতি তুমি কৃষকের স্যাঙাত।
বিরহের এইদিনে লিখছি তোমায় নিয়ে ভাবিনি সাত-পাঁচ
তোমারি গান গুঞ্জনে আজকে হই যদি স্বৈরচার কিংবা রাজাকার
তবু থামবনা আর সত্য বলিতে এদশের প্রতি তোমারি উপহার।
আটষট্টি হাজার গ্রাম বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে বলিষ্ঠ স্লোগান
পিচাশের ছা! শকুনেরা টেনে হেঁচড়ে করে দিল ম্লান।
ইনশাল্লাহ এই নিলাম শপথ আজ
আমি তোমার দেখা পথ! তোমার স্নেহের ছাত্র সমাজ
করব ঘাত সংঘাত কৃষককে করতে বাংলার তাজ।
তোমার বিদায় ক্ষণে আজ হৃদয়ে বাজছে ব্যাথা
চিরিয়ে দেখাতে পারতাম যদি কত জ্বালায় জ্বলছে সেথা।
কৃষকের সাথী ছিলে এই রাষ্ট্রের পতি
বিনয়ী তোমাতে ছিল রাজ্যর গতি।
নাহ! কোন আমলা!
কুলি মজুর আমি গাঁইয়া চাষা আমি আতি সাধারণ জনতা
তোমার তরে সঁপিলাম আজ কবিতার খাতা ।