যে জুলাই দিনরাত ভিডিও গেমে ডুবে থাকা একটা জেনারেশনকে রাজপথে নেমে অন্যায়ের বিরুদ্ধে কণ্ঠ উঁচু করে শ্লোগান দিতে শেখায়,
যে জুলাইয়ে স্বৈরাচারের বন্দুকের সামনে বুক মেলে দেয় আবু সাইদ,
রাফিরা ঢাল হয়ে দাড়ায় ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে।
যে জুলাইয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীর শরীরে লাগে ঘৃণিত “রাজাকার” ট্যাগ,
আকাশ ভারী হয়ে ওঠে তন্বীদের আর্তচিৎকারে।
যে জুলাই কেড়ে নেয় মীর মুগ্ধের মুগ্ধতা।
যে জুলাইয়ে রুমের জানালা বন্ধ করতে গিয়ে বন্ধ হয়ে যায় ছোট্ট সামিরের নিঃশ্বাস।
যে জুলাইয়ে জাতিকে সতেরোর ফাইয়াজকে সাত দিনের রিমান্ড আদেশের মতো লজ্জা কাঁধে নিতে হয়,
যে জুলাই সুযোগসন্ধানী সুবিধাবাদি দালাল চাটুকারদের সেলিব্রিটি মুখোস টেনে ছিঁড়ে উলঙ্গ করে দেয়।
যে জুলাই প্রহসনের রাষ্ট্রীয় শোককে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মাথায় লাল কাপড় বেঁধে নিতে শেখায়।
যে জুলাইয়ে বোনেরা রাজপথে নেমে আসে ভাই হত্যার জবাব চাইতে,
শিক্ষক-শিক্ষিকারা ধরা দেয় বাবা-মায়ের ভুমিকায়।
যে জুলাই গোটা একটা জাতির বিবেকবোধ জাগ্রত করে, নাড়িয়ে দেয় দাম্ভিকের উচ্চবিলাসী ক্ষমতার মসনদ।
যে জুলাই আমাকে জীবন্ত কাকতাড়ুয়ার খোলস থেকে মুক্তির আশা জাগায়।
সে জুলাইকে আমি ভুলতে চাইনা।
সে জুলাই আমি আমৃত্যু বুকে ধারণ করতে চাই।
ওই শতশত সাঈদ, ওয়াসিম, আসিফ, রাফি, মুগ্ধদের আমি মনে রাখতে চাই।
যারা গেয়েছিলো -
“গারদগুলা জোরসে ধরে হেচকা টানে
মার হাঁক হায়দারী হাঁক,
কাঁধে নে দুন্দুভি ঢাক,
ডাক ওরে ডাক,
মৃত্যুকে ডাক জীবন পানে।”
-------------------------------
৩১শে জুলাই, ২০২৪