এমন একটা ভোর দেখিনি কত দিন হলো,
যে ভোরের শান্ত আকাশ মুখরিত হবে পাখির বিচরণে,
সে ভোরের নরম ঘাসের ডগায় ঝিকিমিকি করা শিশির-
মাড়িয়ে চলতে চলতে আবার সতেজ হওয়া আমার বিরহি পা জোড়া
নিয়ে যাবে আমায় আগুনমুখায়, সাত নদীর মোহনায়।
যেখানে আমি সাদা চিলের ডানা ঝাপটানো দেখবো
দেখবো জীবনেকে বয়ে চলানোর অসীম সাহস।
অথচ এরপরেও এই শহরে হাজার খানেক ভোর এসেছে
তবু ভুল করেও আমার সে ভোরটা কখনো আসলোই না।

এমন একটা বিকেল দেখিনি কত দিন হলো,
যে বিকেলে রংহীন আলো সোনালী হবে,
দিগন্তের বুকে হেলে পড়বে শ্রান্ত রোদ,
কিশোরীর রংমাখা ঠোটের মতো লাল হবে সূর্য
আর আমি ঠিক সে সূর্যের নিচে আনমনে বসে
লিখে ফেলবো রোদের কবিতা,কিশোরীর কবিতা, প্রণয়ের কবিতা।
অথচ এরপরেও এই শহরে হাজার খানেক বিকেল এসেছে,
তবু ভুল করেও অমন একটা বিকেল কখনো আসলোই না।

এমন একটা রাত দেখিনি কত দিন হলো,
তারায় তারায় ঢেকে যাওয়া যে রাতের ধূসর আকাশ
গর্ব করবে তার লক্ষ বছরের ক্লান্ত চাঁদকে নিয়ে।
সে রাতটা পূর্ণিমা হবেনা অথচ রূপোর প্লাবন ঠিকি থাকবে।
আর আমিও সেদিন কবিতার কথা ভুলে
কেবল মহুয়ার বুকে মাথা রেখে, স্নানিত হবো সে চাঁদের প্লাবনে।
অথচ এরপরেও এই শহরে হাজার খানেক রাত এসেছে
তবে তাতে মহুয়া ছিলোনা, ছিলোনা তারার হাসি কিংবা রূপোর প্লাবন
ছিলেম কেবল আমি আর আমার হাজার রাতের বিষণ্ন মন।

কবিতাঃ শিরোনামহীন
বিলিয়ার রহমান রিয়াজ

০৮ই সেপ্টেম্বর,
২০১৮ ইং,
ঢাকা।