নীরা ,প্রতিদিনই ভাবি আজ ঘরে ফিরবো
তোমার জন্য নেব এক টুকরো বিশুদ্ধ আকাশ,
মাথার ছাদ হয়ে যেটি, নিশ্চুপ শুনে যাবে
আমার তোমার প্রণয়ালাপ।
অথচ দেখো বিশুদ্ধ আকাশ দুরে থাক
এই শহরে পই পই করে খুঁজেও
এক টুকরো অবিশুদ্ধ আকাশ দেখিনি আমি,
অন্তত যেটুকুন তোমার হাতে দিয়ে বলতে পারতুম
“ভালোবাসি সখি আকাশের মতো করে
ভালোবেসে যাবো এমনি ভাবে সারাজীবন ধরে।”
জানো, কতটা রাত আমি কত শহরের রাস্তায় নেমেছি?
হেটেছি রমনা থেকে রায়েরবাগ চৌমোহনা থেকে চট্টলা,
কেবল একমুঠো নির্ভেজাল জ্যোৎস্না পুরে নেবার আশায়-
প্রতি রাতেই আমি বিয়ে নামক বস্তুটার মুখ থুবড়ে পড়ার স্বাক্ষ্য হয়েছি!
টাকার বিনিময়ে কেনা যৌনতা আর পাগলিদের মা হয়ে ওঠা গল্প দেখেছি!
অথচ দেখো এই শহরের কোথাও একমুঠো জ্যোৎস্না দুরে থাক
অতল আঁধারে মাঝে আমি এক চিমটে আলোও খুঁজে পাইনি!
যেটুকুন তোমার হাতে দিয়ে অন্তত বলা যেত,
“ভালোবাসি সখি জ্যোৎস্নার মতো করে
ভালোবেসে যাবো এমনি ভাবে সারাজীবন ধরে।”
দুর্মোচ্য অভিমান ভুলে আমি কত নগরের পার্কে হেটেছি
যদি ফের পেয়ে যাই কোন নব্য মজনুকে
যার গল্প তোমায় শোনানো যেতো নতুন করে নতুন রঙে।
অথচ নগরগুলোর সে পার্কে আমি হাজার যুগল দেখেও
আধেক খাঁটি ভালোবাসার চিহ্নটুকুনও পাইনি!
যা পেয়েছি তা কেবল কপট্য আর ঠকিয়ে নেবার গল্প,
ঐ গল্পতো তোমার হাতে দিয়ে আমি বলতে পারিনা
“ভালোবাসি সখি মিথ্যে প্রেমের গল্পের মতো করে
ভালোবেসে যাবো এমনি ভাবে সারাজীবন ধরে।”
অকবিতা: ফেরা
বিলিয়ার রহমান রিয়াজ
২৩ অক্টোবর, ২০১৮ ইং