উনিশশত একাত্তর, যেন স্বর্গ থেকে নামা
আমাদের হৃদয়ে বেজে ওঠা এক যুদ্ধের দামামা।
কী ভীষণ সাহসের
কী ভীষণ বীরত্বের
সে যুদ্ধে, ছিলেমনা তুমি-আমি
তবু আমাদের চির বিদ্রোহী আত্মা
হয়তো কোন সাদেক পালোয়ান,
অহির উদ্দিন কিংবা গঞ্জু মিয়া হয়ে
ছিলো সে একাত্তরের হৃদয়ে।
রোজকার মতো, গুলি যেমন চলতো
বিবিসির বাজারো তেমনি জমতো।
কোন কাশেম মিয়ার ভ্রাম্যমান চায়ের দোকানে
থ্রি ব্যান্ড রেডিওতে ভেসে আসতো স্বাধীনতার কানে।
বিবিসির প্রবাহ কিংবা স্বাধীন বাংলা বেতারের গান
কি আছে বলো সে স্মৃতির সমান।
কী ভীষণ ভয়ংকর অথচ পবিত্র
কী ভীষণ রক্তাক্ত অথচ প্রত্যাশিত
সে রক্তক্ষরণগুলো, যাতে রঞ্জিত রয়েছে দুর বহু দুর
শর্শা,তেলিয়াপাড়া কিংবা উজানিপুর।
যদিও সে একাত্তর হয়েছে গত,
তবু কিছু যুদ্ধ রয়ে গেছে, আছে তাদের দগ্ধ ক্ষত।
সে যুদ্ধ ষোলফুটের রণপায়ে হাটা নুর হোসেনের
এ যুদ্ধ নেতাকে ম্যানেজ করে বয়স্ক ভাতার লিস্টে নাম তোলার।
সে যুদ্ধ তিন বছর আগে এম এ করা হাজারো বদিউলদের
এ যুদ্ধ তিন বেলা খেতে পারাযাবে এমন একটা কাজ পাওয়ার।
মাথা গোজার ঠাঁইয়ের যুদ্ধ, শীতের কম্বলের যুদ্ধ
কিংবা ক্রস ফায়ারে নিহত রাকিবদের মায়ের হৃদয়রে যুদ্ধ
অবিরাম চলছে,
হয়তো চলবে..............।
একাত্তরে, একজন জাতির পিতা ছিলেন
আজ জাতির পিতা নেই তবে দলের মাতা আছেন।
একাত্তরে জাতির প্রতিপক্ষ জাতি ছিলোনা
তবে আজ দলের প্রতিপক্ষ দল হয়েছে।
একাত্তরের যুদ্ধে জাতির জয় হয়েছিলো
তবে আজকের মহাযুদ্ধে আমি কেবল দলের জয়ই দেখছি।
অকবিতা: আজকের একাত্তর
বিলিয়ার রহমান রিয়াজ