ছোটো বড়ো মিলিয়ে
নেতা আছে হাজারো
নেতাজীর গুণ কী
আছে এদের কাহারও?
নেতাদের নেতা তিনি
দেশপ্রেমে উজ্জ্বল
অসীম সাহস তাঁর
অদম্য মনোবল।
শিখিয়েছেন - স্বাধীনতা
ভিক্ষা করে নয়
গায়ের জোরে, বাহুর দ্বারা
ছিনিয়ে নিতে হয়।
অহিংসা নীতি নয়,
নয় উদারতা
'তোমরা আমায় রক্ত দাও
দেব স্বাধীনতা।'
এহেন আহ্বান
করেছিলেন যিনি,
সুভাষচন্দ্র বোস---
নেতাজীই তিনি।
আঠারোশ সাতানব্বই
তেইশে জানুয়ারি
ওড়িশার কটকে
জন্ম হল তাঁরই।
পিতা জানকী নাথ
মাতা প্রভাবতী,
বাঙালি জানায় তাঁদের
সশ্রদ্ধ প্রণতি।
মেধাবী সুভাষ ছিলেন
অনুগত ছাত্র,
স্বজাতির অপমানে
জ্বলতো তাঁর গাত্র।
ওটেনের কটূক্তি,
উদ্ধতস্বভাব,
তাঁর থেকে পেয়েছিল
উচিত জবাব।
বিনিময়ে প্রেসিডেন্সি
ছাড়তে হল তাঁকে
স্কটিশে ভর্তি হলেন
আশুতোষের ডাকে।
তারপর বিদেশ পাড়ি,
আই সি এস পাশ
চাকরি করে চাননি হতে
ইংরেজদের দাস।
ব্যক্তিগত সুখ নয়,
দেশের মুক্তি চাই
স্বাধীনতা সংগ্রামে
যোগ দিলেন তাই।
গান্ধীজীর সাথে মতভেদ
কংগ্রেস দিলেন ছেড়ে
'একলা চলো' নীতি তাঁর ,
কে নেবে তা কেড়ে!
ঊনিশ'শ একচল্লিশে
হলেন নজরবন্দী,
ছদ্মবেশে গৃহত্যাগ
ব্যর্থ গোরার ফন্দি।
জার্মান, জাপান ঘুরে
শক্তি সঞ্চয় করা,
আজাদ হিন্দ ফৌজ
নামে সৈন্যদল গড়া।
'দিল্লি চলো' তাঁর ডাকে
ফৌজি সেনাদল,
কদম কদম বাড়ায়ে যায়,
মনে অটুট বল।
তবুও পিছু হটতে হলো,
যুদ্ধ হলো শেষ;
মোদের প্রিয় নেতাজী
হলেন নিরুদ্দেশ।