বিশ্বকবি, কবিগুরু, গুরু দেব তিনি
দেশবাসী আমরা তাঁকে এসব নামে চিনি।
তিনি কবি, চিত্রকর,..., তিনিই গীতিকার-
বহুমুখী প্রতিভা তাঁর, বিস্ময় অপার!

সাতই মে, আঠারো'শ একষট্টি সনে
বিশ্ব কবির জন্ম হয় অপরাহ্ণ ক্ষণে।
স্থান জোড়া সাঁকো ঠাকুর পরিবার;
পিতা  দেবেন্দ্রনাথ, মস্ত  জমিদার।

বিদ্যালয়ের বন্দী দশা অসহ্য তাঁর লাগে,
বৃক্ষতলে পড়ার সাধ প্রাণে বড় জাগে।
প্রথাগত ডিগ্রি তাই ঝুলল না তাঁর গলে,
তবুও তিনি বিজ্ঞ ছিলেন, ইতিহাস তা বলে।

সোনার তরী, নৈবেদ্য, মানসী, চৈতালি---
নানা কাব্যে সাজানো তাঁর সাহিত্যের ডালি
চোখের বালি, নৌকাডুবি, ঘরে বাইরে, গোরা---
অনবদ্য সব লেখা পড়ে, মুগ্ধ হয়েছি মোরা।

ঊনিশ'শ তেরো সালে 'গীতাঞ্জলি'র তরে
বিশ্বসেরার স্বীকৃতি 'নোবেল' এলো ঘরে।
ডায়ারের হত্যালীলায় বিবেকের গর্জন!
প্রতিবাদে করেছিলেন 'নাইটহুড' বর্জন।

অনন্ত আকাশ, মুক্ত বাতাস, সবুজে ঘেরা মাঠ,
তারই মাঝে হওয়া ভালো পাঠশালারই পাঠ।
'বিশ্বভারতী' তাঁরই ভাবনার বাস্তব রূপায়ণ,
(সেথায়)পড়তে আসে দেশ-বিদেশের বহু মানুষ জন।

'সহজ পাঠ' বাঙালির কাছে শৈশবের স্মৃতি,
'রাখীবন্ধন' এ জানাই মোরা শুভেচ্ছা ও প্রীতি।
তাঁর লেখা গান আর তাঁর দেওয়া সুর
সুখে দুঃখে সবেতেই  অতি সুমধুর।

উনিশ'শ একচল্লিশের শ্রাবণ মাসের শেষে
পারি দিলেন মোদের ছেড়ে চির ঘুমের দেশে।
ভারতের গর্ব তিনি, বাঙালির অহংকার।
দ্বিতীয় রবীন্দ্রনাথ জন্মাবে না কভু আর।