ভালোবাসা
বিকাশচন্দ্র সরকার
পরিতৃপ্তির অভিধানে
ভালোবাসা খুঁজতে নেমে দেখি,
মন ফাগুনের গন্ধ ছিটিয়ে ম-ম করছে পলাশের রূপ,
আর প্রেমের কলিতে পাপড়ি মেলেছে গোলাম।
ভাবনার ডানায় সাঁকো গড়ে ভাবলাম,
দেখি তো ভালোবাসা কতোটা হয় গভীর,
অমনি আমার চোখে মুখে ঢেউ-
তোমার শ্রাবণ
বৃষ্টি আলাপন।
কোনো কোনো দিন শেষ হয়ে এলে
চোখ পাতি নক্ষত্রবিথী উপবনে
জোনাক জ্যোতিরমালা বলে,
"তুমি কি জানো, ভালোবাসা মানে?"
তরুণ কবির ঠোঁট তখনো শব্দহীন।
পরিযায়ী পথ একঝাঁক কিশলয়ে
প্রচ্ছদ আঁকে
ভেজায় দক্ষিণা বাতাসে।
অন্তরালে এখনো যেটুকু আছে স্বপ্ন
সেও একবুক আশা পোষে মনে।
বর্ণের প্রতিলিপি,
এখনো চেনা অক্ষরের ঐসজ্জে প্রশ্ন করে, "ভালোবাসা কি?"
সহস্রাব্দের রঙ তুলি প্রতিরূপ গড়ে-
মায়ের আঁচল
প্রেমিক আলিঙ্গন
মানুষের মতো, মানুষের মুখ।
সবটুকু পথ শেষ হয়ে এলে
মমতার সু-ঘ্রাণে সাগর তুফান।
উদাসীন বালুকাবেলা আর বিস্তৃত দিগন্তপ্রবাস,
আত্মপ্রকাশের ধ্রুপদ ধ্বনিতে বলে ওঠে-
ভালোবাসা, তুমি সবুজ প্রবাহ
ভালোবাসা, তুমি নদীময়ী ধারা
ভালোবাসা, তুমি জীবন কবিতা।