যেদিন শ্রাবণ ঝরেছিল
বিকাশচন্দ্র সরকার
যেদিন শ্রাবণ ঝরেছিল।
উথাল পাথাল হৃদয় দোলায়
মেঘ গর্জন গভীর রাতে,
স্বরলিপির রঙের ছটায়
কন্ঠ মেলেছিলে।
আকাশ জোড়া মেঘের ছবি
খাঁচায় বাঁধা বনের পাখি
মনের দোলায় তুফান তুলে
সেদিন মুক্ত হয়ে ছিল,
যে দিন শ্রাবণ ঝরেছিল।
যে দিন শ্রাবণ ঝরেছিল।
আলিঙ্গনের পরশ পাথর
নিঃস্ব করে নিয়ম কানুন
চোখের পাতা ছুঁয়ে ছিল
স্বপ্ন কবির মন।
বন ময়ূরের পেখম মেলে
রামধনু রঙ ছড়িয়ে দিয়ে
কল্লোলিনীর উজান স্রোতে
সেদিন মিলন এসেছিল।
যেদিন শ্রাবণ ঝরেছিল।
যেদিন শ্রাবণ ঝরেছিল।
কাব্য ছিল কোমল খোঁপায়
যৌবনেরই বর্ণমালায়
বৃষ্টি ধারায় প্রাণের খেয়াল
তরঙ্গের উত্থান।
সাঁঝের প্রদীপ জ্বালিয়ে ঘরে
গ্রাম্য বধুর গোপন মনে
অনুরাগের আলোর কনায়
সেদিন গোলাপ হেরেছিল।
যেদিন শ্রাবণ ঝরেছিল।
যেদিন শ্রাবণ ঝরেছিল।
প্রতিধ্বনির মানসলোকে
প্রেমিক পালক উঠল ফুটে
তোমার ছায়ায় মিশেছিল
আমার ছায়াপট।
সৃষ্টি ছিল শিরোনামে
অমানিশায় পরাগ মেখে
বাহুর তটে বাঁধন ছিল
সেদিন চিবুক আহ্লাদিত,
যেদিন শ্রাবণ ঝরেছিল।