সেদিন তোমায় প্রথম দেখেছিলেম,
সকালবেলায় কলেজের করিডোরে,
চকিত হাসিমুখে, কৌতূহলী হরিণী চোখে।
কেন যেন হয়েছিল মনে, চিনি তোমারে -
দেখেছি অনেকবার, মনের অগোচরে।
শুরু হল মন নিয়ে লুকোচুরি,
অজানা এক দিশার স্রোতে, দিয়েছিলেম পাড়ি।
সোনালী রোদে, আলোছায়া আঁকা পথে,
সময় পালিয়ে যেত, আমাদের অজান্তে,
পাহাড়ের গায়ে, গোধূলীর পায়ে পায়ে।
ম্যাল রাউন্ডের সবুজ পাহাড়ের ঢালে,
রডোডেনড্রনগুলো থাকত ফুটে,তুমি আসবে বলে।
চলার পথে কখনোও বা বসতেম দুজনে,
পাইনের ছায়ায় ঘেরা, একাকী বেঞ্চটাতে।
নির্বাক দুটি মন, করত কত কথোপকথন,
নীল পাহাড়ের মাঝে, সূর্যাস্তের পথ চেয়ে।
কুয়াশার আদরে মাখা, পড়ন্ত বিকেলে,
বোটানিকাল গার্ডেনে, এন্ডারসন ব্রীজে দাঁড়িয়ে,
রবীন্দ্রসঙ্গীতের সুর খুঁজতাম দুজনে, চঞ্চল বাতাসে।
লালকুঠির সবুজ নির্জনতায়,
কিংবা নর্থপয়েন্টে, রোপওয়ের সীমানায়,
কত রোমাঞ্চ যে দিত উঁকি, মনের জানালায়।
আমার গ্রীষ্ম-বর্ষা-শরৎ্-হেমন্ত-শীত-বসন্তে, তুমি -
ভালবাসা দিলে ভরে, জীবনপাত্র পূর্ণ করে।
তুমি যে প্রিয়বান্ধবী, আমার চিরদিনের সাথী।।