দুয়ারে কেউ খিল দিও না
পথ রাখো সাফ
মুতায় যারা রক্ত দিয়ে সবুজ সবুজ চাল খেলেছে
সেই শহিদের দীর্ঘসারের মধ্য দেখি একটা যেন সোনার পাখি!
পাখার হাওয়ায় দুলিয়ে নগর-গঞ্জ-নদী
আসছে ধেয়ে এইদিকে ফের।
ও মতিহার চোখ মেলে চাও, চোখ মেলে চাও
মিছিল ডাকো মিছিল সাজাও।
ঐ যে আমার রান্টু আসে, রান্টু আসে!

বনবিহারের সবুজ তরু ফুল দিয়ে কী বৃষ্টি ঝরায়?
দুহাত ভরে রক্তগোলাপ ছিটিয়ে হাসে দীপ্ত ও মুখ
ঐ যে হেসে রান্টু আসে।

হাসিতে তাঁর বেহেশত হতে খোশবু আসে
পথ ছেড়ে ঐ দিচ্ছে কারা?
মারহাবা তাল তুলছে আবার মানুষ নাকি ফেরেশতারা?
অন্ধকারের পাঁজর ভাঙার গান নিয়ে ঐ রক্তঠোঁটে
ঐ যে আবার রান্টু আসে মতিহারে।

বন্দনা গান স্লোগান তোলো—আল্লাহু আকবার
ও মতিহার মিছিল ডাকো
মিছিল সাজাও ফের!
রুখবে কারা? দাঁড়াক পথে;
খড়কুটা সব। প্লাবন জলে ভাসলে পরে কুল পাবে না;
শহীদ হওয়ার জন্য যারা পা রেখেছে মাটির বুকে
তারাই আবার রান্টু হবে।
রক্ত এবং একিন স্রোতে ভাসিয়ে দেবে খড়কুটাদের।

স্লোগান তোলো ও মতিহার মিছিল সাজাও
ঐ যে শহীদ ছেলেরা সব হাসছে কেমন দীর্ঘতর মিছিল নিয়ে।
সেখান হতে সোনার মতন ঝলমলিয়ে আসছে ধেয়ে
মতিহারের উন্মাদ এক খোদার সেপাই
মিছিল ডাকো—রান্টু আসে! রান্টু আসে!


::
২৫ বৈশাখ ১৪২৮ মাওনা, শ্রীপুর, গাজীপুর