জন্মদিনের নতুন ভোরে সুভাষ ফিরে এলো।
রঙ মাখা সব সাদা পোশাক হচ্ছে এলোমেলো।।
স্বাধীনতার একাত্তরে কি দিয়েছ দেশে?
প্রশ্ন নিয়ে সুভাষ বাবু জিজ্ঞাসিলো এসে।
আমার ছবি রঙ মাখিয়ে, পথের মোড়ে মোড়ে।
কি দিয়েছ স্বাধীন মাতার স্বাধীন সন্তানেরে?
শুনতে পেলাম টাকার নাকি সাদা-কালো রঙ।
চুপ কেন সব? উত্তর দাও বন্ধ করো ঢঙ ।
হটাৎ করে চেয়ার দেখি করছে নড়া-চড়া!
গোলমেলে সব দোকান গুলি হারাল পসরা।
সুভাষ বাবু চুপ করে সব দেখছে বসে বসে।
গান্ধী ছাপের কাগজ এলো এক দামী স্যুটকেসে।।
বাক্যালাপে শুনছে বসে, কাল হবে যোগদান।
কিন্তু সাথে রাখতে হবে আমার রঙের মান।।
এই না শুনে সুভাষ বাবু বলেন হেঁকে ডেকে।
আমার এবার মৃত্যু আসুক, রেখো না মনে এঁকে।।
মিথ্যে যত প্রলাপ সাজায় শোষণ চলে যে দেশেতে।
স্বাধীনতার, নামে-স্বাদহীন, জীবন চলে যে তল্লাটে-
সে তল্লাটে আমায় নিয়ে চলছে শুধুই রঙের খেলা।
সাদা’র মাঝেই রঙিন ছবি, ধুঁকছে বসে ছেলে বেলা।।
আমি চাইনা এমন দেশে জ্বলুক,আমার জন্মদিনের আলো।
যে দেশর সন্তান যায় মৃত্যু কোলে, মার মুখেতে সন্ধ্যা জ্বালো।।
যেদিন স্বাদহীনতা ভুলে এদেশ, স্বাধীন ভাবে বাঁচবে ঘরে।
সেদিন আমার জন্মদিনে ভরিয়ে দিও উপহারে।।
এবার বুঝি বসন্ত গান বাজবে আমার স্বাধীন ঘরে।
নতুন আলোয় পর্দা ফেলে,বেশ তো ছিলাম স্বপন ঘোরে।।
রচনাঃ২৩-০১-২০১৮ (লেনিনগড়)