রঙ মুছে গেল ক্ষণিকে।
জীবনের শত আভিজাত্য ধুলায় মিশলো এক নিমেষে।
চোখ খোলা থাকলেও অন্ধকারে নিমজ্জিত প্রাণবায়ু।
এই এত কিছুর পরেও কি দেশ ভাঙতে'ই হবে?
বরফ গলছে। বাতাসেরও খুব হাত টানাটানি আজকাল।
জীবন পঞ্জিকার সূর্য প্রায় পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়েছে।
মৃত্যু মিছিলে যোগদান করছে শত সহস্র প্রাণ।
এই এত কিছুর পরেও কি একটু প্রেমে জড়ানো যায় না?
রক্ত-বিদ্রোহ- প্রতিবাদ কি প্রকৃতির কাছে ঠাঁই পেল?
ধর্ম-রাজনীতি'র বিছানা ভাগ কি থামাতে পারলো প্রকৃতির সিদ্ধান্ত?
বোম-বারুদ-হিংসা-মারামারি কি নিজ অস্তিত্বের ক্ষমতা কায়েম করলো?
এই এত ভুলের পরেও কি একটু মানুষ হওয়া যায় না?
রাজা প্রজার বিভেদ প্রকৃতি বুঝলো না ভেবে দুঃখ হচ্ছে?
সত্যিই আমাদের মত শিক্ষিত হয়ে উঠতে পারেনি সে।
তার বুকের ওপর আমরা বিস্তার করেছি আমাদের রাজকীয় লাম্পট্য ।
উপড়ে ফেলেছি প্রাচীন প্রেম। কংক্রিটের ভালোবাসায়।
এই এত মৃত্যুবাণের পরেও কী একটু প্রকৃতির হওয়া যায় না?
আধ্যাত্মিক ভন্ডতাকে মুখোশ না করলে,
আজ হয়তো প্রকৃতির যন্ত্রনার মুখোশ পরতে হতো না।
কুসংস্কারের সাথে গলাগলি করে।
প্রকৃতিকে গালাগালি দিয়ে তার বুকে, ফুলের বদলে,কফিন সাজানোর দায় আমাদের'ই।
প্রতিটা বেড়াজাল ভেঙে পৃথিবী কে একটা চাদরে জড়ানো যায় না?
হিন্দু-মুসলিম-খ্রীষ্টান মিলে মিশে মানুষ হওয়া যায় না?
রচনাঃ ২২-০৩-২০২০(লেনিনগড়)