আবার আসতে হবে। আসতেই হবে শত নতুনের পাতা'তে।
পৃথিবীকে দেখা তো হলনা সেভাবে।
যেভাবে নতুন ভোর দেখে।যে ভাবে শরতের বৃষ্টি দেখে।
নিজেকে ঢেকে রাখা'র মধ্যেও একটা আত্মতুষ্টি আছে।
তা পৃথিবীর থেকে ভালো হয়তো আমরাও বুঝি না।
আলোর বিপরীতে থাকা তার শরীর কত স্বপ্নের জন্ম দিয়ে চলেছে প্রতিক্ষণে।
টের পাইনি তার।কোনও ভাবেই না।
আমরা নতুন সকাল দেখি। নিজেদের জন্য নতুন দিন সাজাই।
কাব্যের সাথে প্রিয় মানুষটি'র শরীর কেও গুছিয়ে ফেলি অক্ষরে অক্ষরে।
আর যে,তার শরীর কে প্রতি ঘণ্টায় এক হাজার বার পাক খাওয়ায়,
হেলে পরে যায় উত্তরের কোনও পথে। আমার দেখা হয়নি তাকে।
আমার ধরা হয়নি তার হাত।থামাতে পারিনি সে ঘূর্ণন গতি।
আমি কোনোভাবেই ভাবেই শক্ত করে তার শরীর জড়িয়ে বলতে পারিনি
আমি আছি।
আমি আর ছিন্ন করবো না তোমার সবুজ পোশাক।
তোমার হৃদপিণ্ড উপড়ে ফেলে বসিয়ে দেবো না কংক্রিট ।
তোমার সবুজ ঘাসের আড়ালে লুকিয়ে রেখে আসব না
শেষ রাতে ব্যবহার করা প্লাস্টিকে'র অন্ধকার।
তিরিশ'টা বছর যার বুকে দাপিয়ে বেরিয়েছি।
তাকে কোনও ভাবেই বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব আমার না।
নিজের অস্তিত্বকে বাঁচানোর জন্য, বারংবার ভেঙ্গে ফেলেছি কক্ষপথ।
সাড়ে ছিষট্টীর মাথায় দাঁড়িয় হেলে যাওয়া পৃথিবীকে লড়তে দেখেছি।
আমি লড়িনি।আমি লড়বো না।
আমি বার্ধক্যের বারান্দায় দাঁড়িয়ে
দীর্ঘ নিঃশ্বাসের সাথে বলে উঠবো -এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকা দায়।
আজ জন্মদিনের এমন একটা মুহূর্তে আমি আমায় ভুলিনি।
তোমায় ভুলে তোমার বুকেই একশো হাসি'র আগুনে জড়ালাম।
রচনাঃ ১৪-১১-২০১৯