জানি না কবে দেখা হবে?
আমার প্রিয় রাস্তার সাথে।
কবে দেখা হবে ভিড় বাস।
আদেও দেখা হবে কিনা জানি না।

মৃত্যু কতখানি ছুঁয়ে আছে চৌকাঠ।
থমথমে বাতাস কবে খেলবে উত্তরে?
চৌকাঠ থেকে পা বাড়ালেই স্তব্ধ গলি।
আর গলির মোড়ে এখনও জমে আছে,
শিক্ষিত মূর্খের চায়ের আড্ডা।
ভয়াবহ হয়ে উঠছে বেঁচে থাকার পাণ্ডুলিপি।
কবির কলম কেমন যেন আতঙ্কিত।
পাণ্ডুলিপি ভর করে গল্প বেঁচে থাকে।
বন্দিদশায় বেঁচে থাকবে আগামীর অস্তিত্ব।
ঘরে কতখানি খাবার তুলে রাখলে।
খিদের মৃত্যু হয়। জানা নেই।
তবুও নিজেদের ঘরে বেঁধে রাখলে।
এই ভয়ের মৃত্যু হবে।

পাড়ার সব থেকে দুষ্টু ছেলেটা, গৃহ বন্দী।
সেও বোঝে সমাজ অস্তিত্বের বাঁধন।
আমার শিক্ষিত সমাজের আড্ডা বোঝে না।
চৌকাঠ পেড়িয়ে ঘরে ঢুকলে  তখন কি বুঝবে?


কবিরাণীর ব্যকুলতা বেড়েছে ।কবিকে দেখার আছিলায়।
আর কবি ব্যকুল তাঁর প্রেম ছুঁয়ে থাকতে।
বন্দী দশায় প্রেম রাখা আছে সেই পুরাতনে।
শুধু অপেক্ষা কিছু দিনের, কিছু সময়ের, কিছু চেষ্টার।

ইতালি-চিনের মৃত্যু মিছিলে আমার উপত্যকাকে ঠেলে দেওয়া নয়।
মৃত্যু ভিড়ে বাচিয়ে রাখতে হবে আমাদের অস্তিত্ব।
এই থমকে যাওয়া সময় টাকে একটানে ছিঁড়ে ফেলতে পারে।
আমাদের বন্দীদশা ।
ফেরাতে পারে পাড়ার দুষ্টু ছেলেটার দুষ্টুমি।
আর কবিরাণী’র কবি’কে।
রচনাঃ ২৪-০৩-২০২০( লেনিনগড়)