এখন আমি ভালো ছেলে বলছি না আর কিছু।
ঘুগনি মুড়ি পূজোর থালায় করছে মাথা উঁচু।।
দুগ্গা মাগো এবার তবে নতুন খাবার পেলে?
ওর পিতার'ই অর্থ গেলো আর্তনাদের জেলে।
এখন আমি লিখছি না আর কাজের খবর গুলো
কাল'ই ঘটের জল মেখে আজ মনটাও জমকালো।
লিখবো না তাই ওদের কথা কাজ ভিখারী যারা
পথের পাশে পুড়ছে পুরুক আগামীর শিক্ষারা।।
এবার পুজোয় মায়ের হাতে পাঁচশ টাকা এলে
নেতার মতোই হাতিয়ে নেব বসে মায়ের কোলে।
তারপরে তো দাদার পুজোয় মস্তি সবাই মিলে
গদির টাকায় স্বস্তি ফুলের মালা মায়ের গলে।
একটা কথাই বলবো শুধু ঘুগনী  যখন দেবেন
ডিএ কিন্তু বাকি এখনও, পয়সা গুনে নেবেন।।
আর কিছু নেই বলার আমার, দেবেন না শুড়শুড়ি।
সবই পাবেন এই বাংলায় পাবেন না চাকুরী।।
বৃথা কেন চেষ্টা মশাই? বৃথাই কেন দাবি?
তালা গুলো বন্ধ আছে। চোরের হাতে চাবি।।
প্রতিবাদী গান গুলো সব টুকরো করে কাটুন।
হত্তে দিয়ে ফল পাবেন না, একটু সাথে হাটুন ।।
বদলে যাবে জীবন যাপন,বদলে যাবে ভাষা।
টক জলটা একটু দেবেন ঘুগনী হবে খাসা।।
যাই হোক এই বিদ্যা-বুদ্ধি শিকেয় রাখুন তুলে।
ভদ্র ভাবে ঘুগনি বেঁচুন ইস্কুলে ইস্কুলে।।
দুগ্গাপুজো যেমন পেলো ইউনিস্কোর মান।
তেমন করে বাংলা দেবে ঘুগনির শ্লোগান।।
©২৩-০৯-২০২২(লেনিনগড়)