নিভে যাওয়া রাতের আঁধারে,
শিরা বেয়ে ওঠে হাহাকার —
মাটি কি শুধু কাঁপে?
না কি কাঁপে জীবনযাপনের অঙ্গার?

এক ঝাঁকুনিতে ভেঙে যায় ঘর,
আকাশ ফাঁকা, বাতাসেও বিষাদের ডর।
যেখানে ছিলো স্বপ্নের বাসা,
সেখানে এখন ধ্বংসের ভাষা,
ইট-পাথরের স্তূপের নিচে,
থেমে আছে কারো শ্বাসের আশা।

একটি কাঁপনে ভেঙে যায় ইতিহাস,
ঘরের চৌকাঠে পড়ে থাকে নিস্তব্ধ শ্বাস,
যে ছাদের নিচে ছিল স্বপ্নের ঠিকানা,
সেখানে আজ কেবল শূন্যতার আনাগোনা।

ভোরের বুক চিরে,
যখন ধুলোর ভেতর শুয়ে থাকে আশার শব,
ইটের নিচে চাপা পড়ে
মায়ের মুখ, সন্তানের রব।

কেউ কি শুনতে পায় সেই কান্না?
নিঃশ্বাসের সাথে হারানোর জ্বালা?
ভূমিকম্প থামে, থামেনা কম্পন,
স্মৃতির ভাঁজে সে দাগ রয় আজীবন।

প্রকৃতির রোষে মানবের সীমা,
এক পলকেই যেন ফুরিয়ে যায় প্রাণের গরিমা।
তবু মাটির গন্ধে বেঁচে থাকার বাসনা,
ধ্বংসের ভেতরেই জাগে নতুন প্রার্থনা।

মাটি কাঁপুক — হৃদয় নয়,
ইট ভাঙুক — স্বপ্ন নয়,
আবার উঠবে ঘর, আবার ফুটবে আলো,
প্রতিটি ধ্বংসেই আছে বেঁচে থাকার ভালো।