শিব শম্ভুর চরণে নমন,
ভক্তির সাগরে মন দহন।
ত্রিলোচন নাথের কৃপা যার পায়,
সে জন্মমৃত্যুর বন্ধন কাটায়।
ভগবান কৃষ্ণ কাশীধামে,
শিব সাধন ব্রত অনুপম নামে।
ভষ্ম মেখে, বাকল পরিধানে,
সপ্তঋষি সাথে জ্ঞানের ত্রানে।
শ্বেতকেতু, অরুনি, দুর্বাসা,
সম্বর্তকের মোক্ষের ভাষা।
যদভারত, দত্তাত্রেয়,
ভস্ম ধারণে মুক্তির মেঘ।
ভস্ম যার পুণ্য দান,
পাপ বিনাশের মহা প্রমাণ।
যাহা ধারণে মোক্ষের পথ,
শিবের চরণে পরম রত।
নারায়ণও শিব পদ চিন্ময়,
ত্রিশূল তিলকে ভস্মময়।
বৃহৎজ্জাবাল, পদ্মপুরাণ,
শিবের মহিমা দেয় জ্ঞাপন।
তাই হে মন, শিবের স্মরণ,
ভস্ম ধারণে মুক্তির কারণ।
শিব ভক্তি, ভস্মের জ্যোতি,
মোক্ষের দ্বার খুলে রবে অমৃতি।
ত্রিনয়ন শম্ভু, জ্ঞানের কিরণ,
সর্বত্র বিরাজে করুণার ধরণ।
গঙ্গাধর শিব, জগতের ত্রাতা,
ভক্তের হৃদয়ে চিরকালের পিতা।
কালান্তক নাথ, মৃত্যু জয়ী,
ভক্তের বুকে চির আশ্রয়ী।
নৃত্যরত মহেশ, ধ্বংসের মূর্তি,
আশীর্বাদে দেন মোক্ষের সূরতি।
বিষ পান করিয়া নীলকণ্ঠ হলেন,
জগতের সুখে ব্যথিত রইলেন।
বৈরাগ্যের মূর্তি, দয়ালু মহেশ,
ভক্তের রক্ষা করেন সদাই বিশেষ।