আমি আর ওষুধ খাই না,
শরীর জুড়ে কষ্টের বাসা।
ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন পড়ে দেখি,
ওষুধ বোঝেনা মনের ভাষা।

তবু কেন মুখে ওঠে না,
কেন হাত বাড়ায় না সে বোতল?
বাবা তো খাইয়ে দিতো সময় মতো,
স্নেহের পরশে গলাতো আকুল জল।

আজ আমি বড় সত্যি হয়েছি ?
কুপুত্র হয়ে নিজেকে ছিঁড়েছি।
অভিমানী শরীর, ক্লান্ত মন,
তবু মরে বাঁচি নিয়ে মৃত্যু পণ।

অসুস্থ হই,মাথা কেমন ঘোরে,
জ্বরের আগুনে শরীর শুধুই পোড়ে।
ওষুধ তো খাইয়ে দাও না আগের মতো,
তাই আমি নিজে কিনা না রোগের পথ্য।

মনের কষ্টে যদি একসঙ্গে সব,
গিলে নিই ওষুধ,থেমে যাবে হৃদয়ের রক্তস্তব।
তবে কি ব্যথার শেষ হবে?
নাকি যন্ত্রণার নাম বদলাবে?