নারী কি শুধু কাঁচের আয়নায় ধরা আলো, ভাঙে আঁধার, গড়ে নতুন প্রভা?
নাকি বিস্তৃর্ণ আকাশের গভীর নীলিমা, সে কি শুধু গোধূলির রঙিন আভা?
তার সৌন্দর্য কি কেবলই কেশের গন্ধ,
সে তো কেবল চন্দনের গন্ধ নয়,চোখের কাজল কি কৃষ্ণকলি? ,অধরের ললিতা!
তার সৌন্দর্য বহমান নদীর মতো,
গভীর, অটুট, অপরাজিতা।।
তার সৌন্দর্য তার ধৈর্যের দীপ্তি,
অশ্রু গোপন করে নিঃশব্দে সয়ে যাওয়া আঘাত,তার ক্ষমতা।
তার সৌন্দর্য গুণের মাধুর্য,শব্দে, চিন্তায়, সৃষ্টির অমরতা।।
সে যখন নীরবে সহে ঝড়ের আঘাত,
তখন সে পাহাড়ের চেয়েও স্থির।
সে যখন ভাসায় ভালোবাসার ঢেউ,
সমুদ্রের চেয়েও হয় প্রশান্ত গভীর।।
সে যে সহস্র নদীর কলকল ধ্বনি,
সে যে মরুর বুকে বৃষ্টি হয়ে নামে।
কখনো কোমল, কখনো সে দাবানল,
শত ঝড়েও যে আপন ছন্দে থামে।।
তার সৌন্দর্য প্রেমে কোমল, ভালোবাসায় বিশাল,
কখনো বিদ্রোহ, কখনো গরিমা, কখনো ভাগ্যশালী প্রবাল।।
সে যখন ভালোবাসে,তখন সে স্বর্গ নিত্য সত্য।
তার মায়া-মমতায় বেঁধে রাখে দিগন্ত।।
তার ক্ষমা, তার স্নেহ, তার সৃষ্টি,
সবই তো তার সৌন্দর্যের অনন্ত দৃষ্টি।।
তার সৌন্দর্য তার নরম ছোঁয়ায়,
ফুল হয়ে ফোটে শত মলিন বুকে।
যার সৌন্দর্য অস্থির কিংবা সুস্থির বিবেকে।।
তার সৌন্দর্য স্নিগ্ধতার মূর্ছনা,
সে সৃষ্টির গান, সে প্রাণের স্পন্দন।
তার চোখে ভাসে নক্ষত্রের ভাষা,
তার হাসিতে গলে সব বিষাদ বন্ধন।।
তার সৌন্দর্য তার শিক্ষা, তার মনের কবিতা,
তার সৌন্দর্য অর্থনৈতিক শক্তি, তার সৌন্দর্য প্রজ্ঞা,সংসার, সমাজ, স্বপ্নের ভার,
সব সামলানোর তার আছে যোগ্যতা।।
তার সৌন্দর্য তার স্বাধীনতায়,
তার সৌন্দর্য সে স্বপ্ন বুনে নিজ হাতে।
সে শিক্ষিত, সে স্বনির্ভর, সে সাহসী,
নিজ আলোয় আলোকিত এই রাজপথে।।
নারীর সৌন্দর্য এক মহাকাব্য,
যেখানে লিখিত চিরন্তন ,সত্য স্পন্দন!
তার স্পর্শে বাঁচে মৃত্ পিণ্ডের প্রাণ,
যেন রাধার প্রেমে শ্রীকৃষ্ণের অনাগত ক্রন্দন।।
নারীর সৌন্দর্য কোনো এক ছাঁচের আল্পনা নয়,
সে বহুমাত্রিক, গভীর, অনির্বচনীয়।
যেখানে সে নিজেকে খুঁজে পায়,
সেখানেই তার সৌন্দর্য মহীয়ান, অক্ষয়!!
নারীর সৌন্দর্য কেবল নয় চিত্রপট!
তার সৌন্দর্য এক অনবদ্য সমুদ্রতট।।
তার চোখের তারা জ্বলে অনির্বাণ
তার সম্মান সভ্যতার সবচেয়ে বড় বিনির্মাণ।।
যার সৌন্দর্যে জাগে মুক্তির আভাস
সে অনন্ত আলো,স্নেহের সুর,
তার সৌন্দর্য অনুভবে ভোরের বাতাস।।