ভেতরে রক্ত সবার লাল,
বাইরে শুধু রংয়ের দেওয়াল,
টিকি, দাড়ি, শাখা, সিঁদুর —
জাতের নামেই বিবাদ বেসুর।
মন্দির-মসজিদে খুঁজিস যে ঈশ্বর,
আয়নার সামনে তাকাস নে নিশাচর ?
হিন্দু কি মুসলিম? কে আপন, কে পর?
জন্মে কি পুঁথি হাতে এসেছিল ঘর?
যার ক্ষুধা পেটে, তার কি জাত লাগে?
ভাতের থালায় কি ধর্মের ভাগ লাগে?
কাঁধে কাঁধ রেখে মানুষই তো চলে,
তাহলে কেন হিংসায় মন জ্বলে?
দুধের জ্বালায় কান্না,
ভাতের জ্বালায় দেশ,
মোল্লা, বামুন ক্ষুধায় মরে,
তবু ধর্মের বিদ্বেষ?
ভাইয়ে ভাইয়ে দেয়াল তুলে,
কীসের এত জেদ রে ভুলে?
খোদা-রাম কি বলেছিল কভু,
"মানুষকে মার, কর তুই শত্রু?"
যে চোখের জলে সবারই ভিজে মাটি,
সেখানে কোথায় জাতের খাঁটি?
কাফের, বেজাত, অপবিত্র তকমা,
কারা দেয় এই মানদণ্ড?
বুকের ভেতর কাঁদে এক শিশু,
সে কি জানে —কোনটা জাতের কোনটা মন্দ?
শাখা সিঁদুরে বাঁচার আশা,
বোরখায় ঢেকে নিখাদ ঈমান,
চোখের জলে কি ধরা পড়েছে
জাতের পরিচয়,কিবা অপমান?
বলে দে আজ, একবার জোরে,
জাতের নামে হোক না অবসান,
মানুষের পরিচয় হোক মানুষই,
ভেদাভেদের শেষ হোক প্রাণে প্রাণ।
দিনের শেষে সূর্য ডুবে,আকাশ আঁধার মাখে,
ধর্ম নয় - চাঁদের রাতে মানুষই পাশে থাকে।
তাই বলি, ভাই
ছাড়রে সব, জাতের নামে গোঁড়ামির জাল,
শুধু মানুষ হইয়া চল,
এই তো নিজের আসল পরিচয় কাল।