নিভৃত প্রান্তরে কবি বসে একা,
বিধ্বস্ত স্বর তার নির্বাসিত প্রাণে,
কালো কুয়াশা ছেয়ে আসে ধীরে,
শব্দেরা লুপ্ত তুষারের টানে।
কালো কলমের কালো কাব্য,
বিষাদলিপি চিত্তে জাগে,
সত্যের শিখা নিভিয়ে রাখে
শাসকের চোখে বিষণ্ন রাগে।
নিভে গেছে দীপ, থেমেছে গান,
শূন্য হৃদয়ে বিষাদের টান।
শব্দের মন্দিরে পড়েছে ঝড়,
ভাষার প্রাঙ্গণ শুনশান পর।
বাতাসে ভাসে পুরনো ব্যথা,
স্বপ্নেরা সব হয়েছে বৃথা।
তবু কি কবি থামাবে কলম?
সত্যের আগুন নিভে কি যাবে?
স্বপ্নের শহর পেছনে ফেলে
চলে গেছে সে দূর আকাশে,
নক্ষত্রেরা প্রশ্ন করে—
"তোমার লেখা কোথায় মেশে?"
তবু কি কবি থেমে থাকে?
তার ভাষা ওই স্রোতের মতো,
প্রাণের মাঝে ধ্বনিত হয়
সত্যের সেই অগ্নিস্ন্মাত।
তবু কি নির্বাসন ঘোচাবে ভাষা?
তবু কি কবিতা স্তব্ধ হবে?
প্রাণের অগ্নি, অশ্বর হ্রেষা,
নতুন বিদ্রোহ রচিবে যবে!
সময়ের রাজা ভয় পেয়েছে,
কবির কথায় আগুন জ্বলে,
তাই তো তাকে পাঠিয়েছে দূরে
নীরবতার গহীন টলে।
না, সে জ্বলবে লেখনীর বলে
বন্দী কণ্ঠও বিদ্রোহ তালে।
নির্বাসন কভু রুদ্ধ না করে,
কবিতার ভাষা উড়ে যায় দূরে।