হীনমন্যতা,তুই কী অবুঝ,কেন চুপি চুপি ঘুরিস?  
হৃদয়ে গভীর উদ্বেগ খুঁজে অদৃশ্য কলস ভরিস?
নিজেকে তুই ঘৃণা করিস,পাপী পাপের বোঝা,  
স্বপ্নের রঙ তুই মুছে দিস, নৈবেদ্যের সাঁঝা।

তুই যে ছায়া,আলোর পথে মৌন মিছিল ভয়,  
নিজের দোষেই দুঃখ খুঁজিস, মেরুদন্ড ক্ষয়।  
দুনিয়ার চোখে রাজাকার তুই ,লজ্জায় মাথা খাস।  
তোর ভেতরেই সোনালী আলো,নিচ্ছে দীর্ঘশ্বাস।  

হীনমন্যতা, তুই ভুলেছিস, তোর তলে থাকা শক্তি,  
বিজয়ের পথে পা রেখে যাবি,আকাশ মেঘের মুক্তি।  
নিজেকে তো শূন্য ভাবিস, কিন্তু তুই যে পূর্ণ,  
অন্তরে তোর বিশ্ব দ্যুতি, ঝাপসা চোখে শূন্য।

তুই কী পারিস,স্বপ্নের মত ফানুস হয়ে উড়তে ?
তবে তো নিজেকে খুঁজে বেশ,মরীচিকা জল ভরতে।
হীনমন্যতা, তুই চলে যা,ভরদুপুরে আটচালে,
তোর সঙ্গী সাহস কিনেছে,সঞ্চারিবে রক্তজালে।

যতবার হাঁটবি পথে, ভাণ্ডারিবে পড়বে ছায়া,  
তবুও থেমে থাকবি না মন, তুই নিজেই অদ্বিতীয়া।  
তোর প্রতিটি পদক্ষেপে শক্তি থাকবে অবিচল
হীনমন্যতা হারবে সেদিন বিজয় বেলার ধামশামাদল।  

অন্ধকার তোর যাত্রা পথে,মাইলফলক ক্ষীণ হবে।
আলো হয়ে জ্বলবি দ্বীপে,তোর খুশিমন সাজাবে।
হীনমন্যতা, তুই হেরে যা,ধ্বংসযজ্ঞ হোক বিলীন।
তোর হৃদয়ে  নতুন পৃথিবী উজ্জ্বল হবে চিরকালীন।
    ------------------------------------------------------