আমি দীর্ঘশ্বাসে ভরা অভিমান,
নম্রতার কুঠার আঘাতে ক্ষত বিক্ষত হওয়া চিহ্ন।
বজ্রসম কণ্ঠতেজ ঊন হয়ে যাওয়া স্বপ্ন ।
অবদমনের ভাবাবেগ যার হৃদয় করেছে ভগ্ন।
হ্যাঁ , আমি সেই অভিমান ........
যার চোখে কানামাছি খেলা
ভোঁ হয়ে গেছে ফুঁৎকারে।
নিরবে সকাল কালো হয়ে গেছে
জ্যোৎস্নাহীন অন্তরে ।
অবহেলা গুলো কামড় বসিয়ে
বুঝিয়ে দিয়েছে গড় মান।
তাইতো পারিনি মানতে সকলে
অবজ্ঞার জয়গান ।
হ্যাঁ ,আমি সেই অভিমান ..........
আমি দীর্ঘশ্বাসে ভরা অভিমান .....
লৌহতপ্ত বৈশাখের দহনে খাল বিল পুকুর শুকিয়ে
গেলেও পানকৌড়ি,ডাহুক,মাছরাঙা
যেমন তজ্জন্য অপেক্ষায় সায়ন্তন।
তেমনি করে ম্রিয়মাণ বুনো অমারাত্তির মেঘ
কেটে স্মৃতির পাতায়ে উজ্জ্বল কোলাহল মুখর
বিপন্ন আশায় আকষ্মিক দমকা হাওয়ার মতো
আলিঙ্গন করেযায় অভিমান।।
একটি ছোট্ট সীমারেখা ভাঙতে গিয়ে
জোয়ার ভাটার স্বাভাবিক স্বরলিপিতে
শিক্ষা সংস্কার আদর্শ বাস্তবায়ন যে এত
নিষ্ঠুর,নিরঙ্কুশ,মমতাহীন পাষাণ ।
কুচকুচে অন্ধকারময় সমালোচনা কলহাস্যে
বিদীর্ণ করেছে আমার তারুন্যকে ম্রিয়মাণ।
হ্যাঁ ,আমি সেই অভিমান ........
যাকে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল নৈরাশ্য জরা
ব্যাধিগ্রস্ত মনুষ্যত্বহীন তৈরি করা সিদ্ধান্ত ।
জানতে চাওয়া হয়নি কি চাই ? এহেন বৃত্তান্ত।
শুধু কুঁচি ধরে জল্পনা ঘিরে, ঘোলাজলে বিভ্রান্ত।
ক্ষোভ আছে যত,দিন দিন বাড়ে,সত্যিই আমি ক্লান্ত,
কুকথা শুনি কলঙ্কভাগী, জীবন পথ ভ্রান্ত।।
আমি সেই অভিমান .......
তুমি জানো প্রভু দয়াময় ,কি ব্যাথা মোর মনে।
জনম দিয়েও অশুচি বানালো,সহিতে নারি প্রাণে।
তুচ্ছ জীবন রাখিতে না চাই, এইরূপ অভিমানে।
মৃত্য সকল সত্য হবে,দাও স্থান প্রভু শ্রী চরণে।