কেন নত হয় মাথা তার, যে শুধু ভুক্তভোগী?
কেন সমাজ রাখে বোবা, চোখে ঢালে কলঙ্কের ভৈরবী?
অন্যায়ের বোঝা কেন বহন করবে নারী একা,সব ঘৃণা?
ধর্ষিতা নয়,লজ্জা ধর্ষকের,হোক ফাঁসির অভ্যর্থনা।
আকাশ বাতাস কাঁদছে দেখে, অন্যায়ের এই খেলা,
নীরব কেন সমাজ এখন?বিচার পাওয়ার পালা।
গর্জে ওঠো, রুখে দাঁড়াও, ভাঙো নীরব দ্বার,
যেখানে অন্যায় সেথায় যেন জাগে ন্যায়ের আগুনধার!
মোমবাতি জ্বেলে আমরা চলি প্রতিবাদের পথে,
কিন্তু থামে না নৃশংসতা, আঁধার বাড়ে রাতে।
নির্বাক প্রতিবাদ লজ্জায় মুখ লুকোয়,
ধর্ষকের হাসিতে মানবতা ক্ষত-বিক্ষত হয়।
যে চায়নি অন্ধকারে চুরি হোক তার আলো,
যে চায়নি ভাগ্য তার দুঃস্বপ্নে বাঁধুক কালো!
তবে কেন সমাজ তাকে তোলে প্রশ্নের মাঝে?
কেন ধর্ষক হাসতে পারে, পায় না সে বিচার সাজে?
যারা ধর্ষক তারা কি মানুষ? হিস্র বন্যপশু
তাদের চোখে নেই লজ্জা,রেহাই পায়না শিশু।
নারীকে দেখে কামনায় জ্বলে, মানবিকতায় হীন।
তোদের শুধুই শাস্তি হোক মৃত্যু রে অর্বাচীন ।
কেন ধর্ষিতা সইবে শুধু অপমানের ভার?
কেন তার লজ্জায় ঢেকে যাবে সংসার?
লজ্জা তাদের,যারা ধর্ষক ,পশু হয়ে বাঁচে,
যাদের রক্তে দানবতার বিষ, ছড়িয়ে আছে।
এবার সময় জেগে ওঠার, নীরবতা ভাঙার বেলা,
ন্যায়ের শপথ হোক এবার,থামুক এই নৃশংস খেলা!
ধর্ষকের শাস্তি হোক কঠিন, নয় যেন কোনো দয়া,
তবেই এই সমাজ হবে সত্য, নিপাত অপয়া।
কিন্তু শুধু ধর্ষক নয়, সমাজও কি নির্দোষ?
যখন পোশাক দোষারোপ পায়, থামে প্রতিবাদ-রোষ!
বিচার পেতে ধর্ষিতা হয় দ্বারে দ্বারে লাঞ্ছিত,
তখন সমাজ ধর্ষকের সাথে হয় না কি সম্মিলিত?
ধর্ষিতা নয়, ভয় এবার ধর্ষকের মনে,
যেন সে জ্বলে অনুশোচনায়, মৃত্যুর দুঃস্বপ্নে!
ন্যায়ের আলো জ্বলুক ত্যেজে, নিপাত যাক অন্ধকার,
ধর্ষকের শেষ পরিণতি—ফাঁসি কিংবা আজীবন কারাগার!
--------------------------------------------------------