আমি অপয়া, অমঙ্গলের কালো ছায়া নিশ্চয়,
যেখানেই গিয়েছি, ছড়িয়েছে বেদনার বিস্ময়।
মুখ দেখলেই যত অভিশাপের ধারা,
আমার আগমনে দুর্ভাগ্য আছড়ায়,বাড়ে কষ্টের পোড়া।

যতবার আমি এসেছি, গভীর শোকের ভয়,
মুখ দেখে তারা গা ঢাকে, চলে যায় দুরে, যেন দূরের অজানা রয়।
আমি জানি, সবার সুখের পথে আমি যেন অশান্তির ঢেউ বয়ে আনি।
আমি তোমাদের জীবনে, সুখের স্পর্শ কাতর হতে চাই নি।

রক্ত সম্পর্কের মাঝে আমি যেন অভিশাপের ছায়া,
শুভ মুহূর্তেও তারা এড়িয়ে চলে, ফেলে যায় একাকী, আমি যেন এক কালরাত্রি ; অপয়া।
হৃদয়ে কষ্ট, চোখে জল, কিন্তু তারপরও পিছু পিছু চেয়ে থাকা,
তোমাদের সুখের আকাশে আমি এক অন্ধকার মেঘের ঝুল মাখা।

কতবার চেয়েছিলাম সুখ দিতে, মনের ভালোবাসায় ভাসাতে তরী।
কিন্তু আমি তো অপয়া, কেবল দুঃখের আঁধারে স্নান করে মরি।
একটি শিশুর কান্না, তার অপূর্ব হাসির গান।
সবই হারিয়ে যায়,আরও একবার আমি, অপয়ার কালো ছায়া,তোমাদের সুখে বাধা সৃষ্টি করেছি আপ্রাণ ।

এখন আর আমি কারো সুখের দিকে, কালো বিড়ালের মতো পা বাড়াতে চাই না,
দূর থেকে দেখবো তাদের আনন্দ, যেন আমি কখনো না পৌঁচাই ; কখনই না।
হে ভগবান, তুমি তো জানো, তুমি জানো এই দুঃখের কাহিনি,
কেন আমি এমন, কেন আমার কালো ছায়া তাদের জীবনে এসে ছড়ায় ব্যথা কান্না রপ্তানি?

আমি তো চেয়েছিলাম, সুখের সঙ্গী হতে, সবার মুখে হাসি ফোটাতে,
কিন্তু কেন আমি, অপয়ার মতো,তোমাদের
সুখের মাঝে বেদনা এনেছি?
তোমরা হও সুখী, শান্তিতে দিন কাটুক,  জীবনে সুর থাকুক,হোক চঞ্চল মৌমাছি ।
কিন্তু আমি, আমি তো সেই কালো ছায়া,
যে তোমাদের ভালোবাসায় বিষ, শুভতে অপয়া।

আমি তো কখনো চাইনি কষ্ট দিতে,
কিন্তু কেন আমি, অজ্ঞানে, অপয়ার মতো তাদের মাঝে এসেছি?
শুধু একটি মুহূর্তের জন্য যদি আমি তাদের সুখ থেকে সরে যেতে পারতাম,
তবে হয়তো তাদের জীবনে অমঙ্গল না আসতো, সুখের পথের মাঝে না ভেসে উঠত আমার কালো ছায়া।
সত্যি সত্যি আমি অপয়া ,অপয়া,অপয়া।

আমিও তো চেয়েছিলাম আনন্দে মেতে উঠতে,
কিন্তু কেন আমার কপাল, আমি তো শুধুই অপয়া,শুধুই বেদনা নিতে।
তোমাদের সুখে, শান্তিতে, আমি আর কোনোদিন ঢুকবো না,
তোমাদের আনন্দের পথে আমি যেন আর কখনো বাধা না হই,
হে ভগবান, তুমি তো জানো, তুমি তো জানো, কেন আমি এমন রই।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~