নিশুথী রাতে একাকীত্বেই
খুঁজে পাওয়া যায় সকল খাদ ঝড়া আমি'কে
নির্মোহ, একাকী আত্মায়নায়
অতীত,বর্তমান ভবিষ্যত
আলোক দূরত্বে করে আনাগোনা
স্মৃতির ঝাপি খুলে ইচ্ছেমতো নেড়েচেড়ে দেখা যায়
কারো চোখ রাঙানীর ভয়হীন!
এই ভয়টা জন্মেরও আগে কে গেথে দিল মনে?
মাতৃগর্ভের নিপাট নির্ভরতায় কেন জেগেছিল ভয়!
অনাগত পৃথিবীর রুপরেখা জানাছিলনা
জীবন, কর্ম, ভাগ্য এসবের পেরেশানীকি অজান্তেই
দখল নিয়েছিল হৃদয়ের!
নাকি-এসেই বিস্মিত ভয় অকস্মাৎই
দখলে নিয়েছিল অস্তিত্বের - ত্রাহি চিৎকারে?
অত:পর পদে পদে চলক হয়ে চলে জীবনে
জ্ঞানে, প্রেমে, কামে, সকল ক্ষনে
দেহ আর আত্মার সমন্বয়ে
ভয়ের গল্প, ভয় কাটাতে গল্প, গল্পের ভয়
উচাটন মন; অতীত খোঁজে না ভবিষ্যর অনিশ্চয়তায়
সেই ভয়ের পাঁকে আকুপাকু..বারবার মরে
খড়কুটো ভরসায় দেহের প্রতি সমপর্ণ!
শূন্যতার প্লাবনে প্রেমও ভরসা হারায়~
মিতা তাই নিশুথিরাতে অন্তরাত্মায় ভয় আর্তনাদে
কেঁদে ওঠে মিতালির নিখাদপনার ভরসাহীনতায়।