প্রতিবারই আসে বছর ঘুরে আসে মাহে রমজান
খুশি হই সবে পুলকিত রবে- বলি আহলান সাহলান।
রমজান আসে বারতা লয়ে দয়া ক্ষমা আর মুক্তির
বিশ্বাসী সবে অনুগত হৃদে খোঁজে সে পথ প্রশান্তির।
রমজান আসে সংযম লয়ে জীবনের সকল কাজে
ভোগ নয় ত্যাগেই মুক্তি - বারতার ডমরু বাজে।
শুধু একবেলা অনাহার নয় এতো চেতনা আত্মার
শুদ্ধ সংযত পরিমিত বোধ, মায়া,মমতা জাগাবার।
নফসের যত ভোগ লিপ্সা মনের যা খূশি তা করা
বিরত করে তারে -শেখায় সুস্থতার অভ্যাস করা।
শুধু একমাস নয় এতো শিক্ষা- মানতে সারা জীবন
প্রশিক্ষন বাধ্যতামূলক যেন মনে রয় তা আজীবন।
এ মাসেই আমরা কি রাখি মনে? সে সংযম চেতনা!
বেড়ে যায় ভোগ -বাহারী কত নাম কত বিলাসী রসনা!
পূজি আর ভোগ চায় ধর্মের বুকে ছোরা মারতে
তাই ধর্মের খোলসেই সারে তা, কি অনায়াসে!
সংযমের মাসে অপচয়ের পার্টি, কত পদ প্রকর
গরীব ভুখা নাঙ্গা দূরেই রয়-সাম্যের বাণী অকারণ!
শ্রেণীভেদ আজো মুছে নাই- আশরাফ আতরাফ
নিম্ন, মধ্য আর উচ্চ বিত্তে আজো সে ব্যবধান কত সাফ।
ইফতারীতে কত বাহারী পদ, সেহরীতে নয়া রেসিপি
হায়- প্রতিবেশি শিশু কাঁদে ক্ষুধায় চেয়েকি কভু দেখেছি?
ঈদের জন্য রকমারী বাজেট সকল স্বজনতরে
হাজারেও কারো হয়না পোষাক আরও দামী চাই সকলের।
সকলের আশা পুরাতে গিয়ে আমি খাই হিমশিম
হয়না সময় চেয়ে দেখবার -ঐ পথ শিশুটির বস্ত্রটা কি মলিন।
ঈদের দিনে পোলাও কোর্মা, পায়েস ফিরনি কত খানা
ঈদগাহে যাই মনে স্ফুর্তি -আহা খাসা হল ঈদখানা?
আসা যাবার পথে কত ভিখিরি দেখে কুচকাই চোখ
যত্তসব বলে দুটো টাকা দিয়ে পাশ কাটিয়েই সূখ!!
হয়েছে কি তোমার সিয়াম সাধন? রমজানেরই শিক্ষা
হায়- নিজেই হয়েছ ভিখিরি কারে দা্ও দুটাকা ভিক্ষা।
শুধু উপবাসের ছিলনা এ মাস ছিল জাগাতে চেতনা
সাম্য, মৈত্রি আর মানবতার, আল ফিতরের ঘোষনা।
সংযমে তুমি বাঁচাবে যে ধন- তারেই দিতে হবে বিলিয়ে
খুশি হবে সে দানে তবেই হবে ঈদ- ঈদ আল ফিতরের।