স্মৃতিগুলো আলগোছে তুলে রেখো কাঠের আলমারিতে
ন্যাপথোলিন দেয়া বিয়ের শাড়ীটির মতোন
আলগোছে মাঝে মাঝে রোদে দাও, আর গন্ধে ফিরে পাও সময়;
উত্তর আসুক বা নাই আসুক
লিখে যাও অবিরত-স্মৃতির বর্ষায় ভিজে ভিজে
প্রশ্নেই উত্তর লুকানো যতদিন অনুভবে প্রগাঢ় না হয়।
বিমূর্ততার শিক্ষাই তো শিখিয়েছেন তিনি
তবে কেন ছবির দুর্বলতা গ্রাস করে এখনো?
আমার আমি আর তোমার তুমি বিলীন হয়ে গেলে
স্মৃতি ছবি সব কেবলই আনুষ্ঠানিকতা
নির্বাসনে সত্যিই কি কেউ গেছে? বুদ্ধের মতো?
অনেক জঙ্গলবাসী দেখেছি গৃহকাতর
অনেক গৃহবাসী দেখেছি প্রকৃত নির্বাসিত-মোহমুক্ত!
নিরবতার ভাষা পড়তে শিখো
চেতন -অবচেতন একাকার করে
তোমার অনুনয়ে তুমি বিস্মিত লজ্জ্বিত হবে!
কি ছেলেমানুষিইনা করেছো ভেবে!
আমাকে এখনো ধারন করোনি ভেবে কি কষ্ট পাবো?
তবেতো কবিতার পাতারা খিলখিল করে উঠতো
রাত পাখির ডাক---ভোরের শিশির বলে দিত
আমি সবকিছুতে -
যে সবকিছুতেই বিরাজে তাকে - পাবার আর হারাবার
শংকাইতো বাতুলতা। সবেচ মন্দটাতেও আমাকেই খুঁজে পাবে যেদিন
মোহের ইন্দ্রজাল ছিন্নহবে, হেসে উঠবে মুচকি হাসি ঠোটের কোনে!
বলোতে এবার -সত্যিইকি ভালবাসতে পেরেছো আমায়?
নি:শংক, নির্ভয়, নির্ভার নির্মোহ ভালবাসা!