নিজের ভেতর নিজে ডুবে থাকা
তিল বালিকা-কি পরম নির্ভরতায়
স্বামীর সাথে বন্ধুর মতো, খুনসুটি
আহলাদে, অভিমানে কখনো শাসনে
ভাইয়ের মতো, স্নেহচ্ছায়ায় পিতার চেয়ে উদ্বিগ্নতা
বেশতো ছিল মেয়েটি- যেন একান্ত বাধ্যগতা।
নিপাট বয়ে চলে সময় নিস্তরঙ্গ
ঢেউ হীন কাজল দিঘীর মতো;
অপূর্ণতা, শূণ্যতা কি ছিল কোথাও?
যে ফাঁক গলে ছুঠে আসে দূরন্ত বৈশাখী হাওয়া
প্রেমের ঢেউ ওঠে উন্মাতাল
তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে পড়ে
দীর্ঘদিনের বিশ্বাস, অনুভব, দায়।।
এমনই উথাল পাতাল করে সে জোয়ার
পাথরও গলিয়ে দেয়- ভেসে যায় বানে খুড়কুটোর মতো
বয়স, সময়, সম্পর্ক, দায় -শুধু জ্বলে স্বপ্নের ভাতি!
কলংকের ভয় উবে যায় কর্পুরের মতোই।
কামনার ঝড় হ্যারিকেন
যেন মহাকালের নিকেশ চুকানোর প্রত্যয়।
ঘোর কেটে গেলে-কেবলই শূন্যতা
যা ছিলনা তার নয়- যা ছিল তা হারানোর
নিষিদ্ধতার আকর্ষন চিরকালীন বিষামৃত
পেলে-হারালে উভয়েই দীর্ঘশ্বাস।
অবসন্ন মনে, ক্লান্ত শরীরে এলোমেলো আঁচল
প্রচন্ড ভাংচুরে চেহরা বিদ্ধস্ত জনপদের ছায়া
যেন ভুলের পাহাড় বোঝা পিঠে- উল্টো হাতে জলের দাগ
শুকনো চোখে দেখি অনুশোচনার ঝর্ণা....
তুমি ফিরে এসেছে! এইতো পরম পাওয়া আমার।।