শরীর নুয়ে পড়ে, কুঁচকায় ত্বক
আত্মা সতেজ চির কিশোরী চঞ্চলা, অসীমতায় বিরাজ
যেখানে দেহের সীমানা শেষ-যাত্রার শুরুতো ওখান থেকেই।
সাপের খোলসের মতো বদলে গেলে দেহ - চির বাসন্তী হাওয়া
রোমাঞ্চিত করে- অফুরান স্বপ্ন শুরুর উষ্ণতা
সসীম দেহের সীমাবদ্ধতা পেরিয়ে
অনন্ত তৃষ্ণা বেড়ে ওঠে অসীম স্বপ্নে!
চির বর্তমানে শুধু স্বপ্নেরই অবগাহন বর্ণিল, সুরভিত
সুশৃংখল, জন্ম-মৃত্যুর চক্র-মুক্ত শুভ্র চির সবুজ আত্মারা
মায়া পদভারে পেরিয়ে আসে- পাথর অরণ্য ঝর্ণা
চক্রবুহ্যের ক্রমাবর্তনের নিত্যতাকে আলগোছে পেরিয়ে
প্রশান্তির নদীতে পঞ্চভূত বিসর্জনে পূর্ণ মুক্তি স্নান।
পালিয়ে মুক্তি নেই। নিজ' থেকে কি কখনো পালানো যায়?
মুখোমুখি হও চোখে চোখ রেখে, গভীর অভিনিবেশে
বদ্ধ কপাট খুলে দাও, সবুজ হাওয়ায় স্নাত হোক হৃদয়
ব্যথা গুলো দেখো কেমন অবোধ শিশুর মতো অবসন্ন
তুমি হাসলেই সব হাসে! উড়ে যায় বিষন্নতা
শুকনো ফুুলেও স্মৃতির সতেজ ঘ্রাণ!