অভিমানী-আজো একটুও বদলাওনি
তেমনি আছো ভেতরে কুসুম কোমল অথচ বাইরে
কি ভীষণ পাষাণ! পাথরও মাথা কুটে মরে!
শুধু আমি জানি ভেতরে তিরতির কেঁপে ওঠা প্রগাঢ় প্রেম
সেবা, প্রেম আর সৃষ্টিসুখের গান বাঁধে।
স্নেহ, মায়া , কামনা, সবকিছুকে এড়িয়ে
কতটুকু পেরেছো নিজেকে দূরে সরাতে?
লোনা জলের আহবানে দেখোনি-সুদূর পাহাড় থেকে ঝর্ণা
কি চঞ্চলতায় ছুটে চলে মোহন মিলনে
গভীর নিশিথে রক্তের কণায় যখন মিলন স্মৃতি
আকন্ঠ তৃষ্ণায় অধরের উন্মাদনা
দেহের মাঝেই দেহাতীত মিলনের তীব্র ভাংচুর
কোমল রাত - কোমলতায় লুকিয়ে রাখে তোমায়।।
দেখো এখনো কেমন আগের মতোই
জলে ভরভর আঁখি দুটো নিয়ে আড়ালে মাখছো কষ্ট প্রলেপ
যে মৃদু হাওয়ায় উড়ছে তোমার আঁচল -চেয়ে আছো চাঁদপানে
না বুঝেই শিহরীত হচ্ছো- কেঁপে কেঁপে উঠছো আনমনে
তোমার ঠোঁটের ভাজে, গ্রীবার খাঁজে সবসময়ের মতোই ছুঁয়ে ছুঁয়ে
কে তোমায় মিশে রয়?
কে বলে দূরে আমি? শুধূই স্মৃতিতে? অসাম্যে!
অনুভবের চোখ মেলে দেখো- অনুভব করো আমি ছাড়া সবই মিছে!