জলের ধারায় নিমগ্ন চেয়ে থাকি
বয়ে চলা অবিরাম : সময়ের মতো, অস্থির চঞ্চল
প্রজাপতি কিশোরী যেন বেণী দুলিয়ে
ছুটছে মহাকালে অন্তহীন !
জল থেকে জলজ অনু থেকে মহাপ্রাণ
সৃষ্টির আদিমতায়
সময়ের ইউনিকর্ণে সাওয়ারী অলখে
মহা সময় থেকে অনু সময়ে ক্ষয়িষ্ণু দেহাবরণ!
বোরাক সময়ে প্রত্যাবর্তনের চিঠি
থমকে যাই অবিশ্বাসে
পরম অনুতে বেঁচেও তাতেই সংশয়
কুড়ি থেকে ফুল; ঝরে যেতে-দেখে চমকে উঠি!
উদয়-অস্ত, এক থেকে একত্রিশ, তিনশ’ পয়ষট্টি
কাল ক্ষয়ে ক্ষয়ে যায়!
মহাকালে উর্ধারোহন-সময়ের ওপারে দাড়িয়ে
বিস্ময়ে দেখি জন্ম, জরা, মৃত্যু নিত্য!
সময়ের বিনুনীর ভাজে বিদ্যুতায়নে
দেহাতীত সত্যানুভবে
নিজেকে ছাড়িয়ে যেতে যেতে
সময়ারোহনে আমি‘ই সময় হয়ে যাই ।