যুবকের প্রশ্ন ছিলো-
বিপ্লবীরা আজ পিচঢালা রাজপথে
স্লোগান তোলে কেন?
আমার ভিতর থাকা বিদ্রোহী স্বত্বা
যুবকের প্রশ্নের উত্তর দিলো-
অমীমাংসিত রাজ্যে-
মীমাংসার বীজ ফুটাতে
বিপ্লবীরা অনন্তকাল
স্লোগান তোলে পিচঢালা রাজপথে।
যুবক ক্রমাগত আমায়
প্রশ্নে জর্জরিত করতে চেষ্টা করলো।
আমি বিদ্রোহী নজরুলের এক শিষ্য
সামান্য কিছু প্রশ্ন আমায়
পরাজয়ের বন্দরে পৌঁছে দিবে
এ কিভাবে হয় বল!
এ বলে বিদ্রোহী মনকে
ক্ষণিকের তরে শান্তনা দিলাম।
যুবক বলিলো-
ক্ষুধার্ত প্রেমিকার মুখে
এক চিমটি হাসি ফুটাতে
তৃষ্ণার্ত প্রেমিকও আজ
প্রেমিকার রক্তবর্ণ ঠোঁঠে
প্রণয়ের চিহ্ন লেপটে দেয়।
বিপ্লবীরা কার মুখে হাসি ফুটায় শুনি!
বলিলাম আমি যুবকের তরে-
ওহে যুবক শোন তুমি,
বিপ্লবীরা পদচিহ্ন রাখে
নির্যাতিত মানবের উঠোনে
মজলুমের মুখে হাসি ফুটাতে।
ওহে যুবক তুমিই বলো-
মজলুমের অনিন্দ্য হাসি
পৃথিবীর সব হাসি হতে শ্রেষ্ঠ নই কি?
যুবক কি যেন কি ভেবে
অট্টহাসিতে ফেটে পড়লো আবাও..
বলিলো আমায়-
সহস্র বছরের শিল্পী রঙ তুলিতে
ক্ষুধার্ত মনুষ্যের কথা বলে।
বিপ্লবীরা ক্ষুধার্ত মনুষ্যের কথা
কখনো বলে কি?
যুবকের প্রশ্ন শোনে আমি
অট্টহাসিতে ফেটে পড়িলাম নিমিষেই!
ওহে যুবক শোন-
বিপ্লবীরা শুধু ক্ষুধার্ত মানবের
কথা বলে থেমে থাকে না।
বিপ্লবীরা ক্ষুধার্ত মানবের
মুখে খাবার তোলে
ক্ষুধার্ত মানবের মুখে হাসি ফুটাতে।
যুবক তো নাছোড়বান্দা
সে পণ করেছে প্রশ্ন জালে
হারাবে আমায়.....
যুবক এবার ভাবিলো,
ব্যাটা হয়তো এবার হারবেই হারবেই!
যুবক বলিলো আমায়-
ওহে বিদ্রোহী, বিপ্লবীদের মুখে
বিষণ্ণতার চাপ স্পর্শ করেনা কেন?
মুচকি হেসে বলিলাম আমি
ওহে যুবক শোন-
জগত সংসারের গৃহকোণে আজও
জাগ্রত বিপ্লবীর বিদ্রোহী মন!
বিষণ্ণতার চাপ বিপ্লবীকে
স্পর্শ করবে কিভাবে শুনি।
যুবক এবার বলিয়া উঠিলো
ওহে বিদ্রোহী
এবার বিদায় দাও আমায়...
বিদায় বিদ্রোহী বিদায় বলিয়া
যুবক ব্যাটা পালায়লো!