দেহজ্যোতি চক্রের শতসহস্র আবরনের বাইরে
যে আভাকে পেতে চাই, সেই আভা তোর সাথে সম্পৃক্ত।
মধ্যমা ধ্বনির তরঙ্গকে বুঝিস সযত্নে,
অর্ধেক কথা আমার মুখে, অর্ধেক তোর চোখে দীপ্ত।
চেতনার এই নীলিমা, তোর সঙ্গেই উজ্জ্বল,
নীরব সুরে বোনা হয় নতুন গল্প,
মুখ বলেনি যা, তা বলে তোর মেঘলা চোখ,
যে আভা তোর সাথে, তার সুরের সুরভি একান্ত মগ্ন।
তোর স্পর্শে, কথা আর নীরবতা মিলেমিশে যায়,
আমার মনের অলিন্দে আঁকা হয় ছায়া।
রাতের গভীর নিদ্রায় যোগাযোগ বাড়ে
ছিন্ন বিচ্ছন্ন হয় ভাগবত মায়া।
তুই-ই সেই আলো, যে আভার মধ্যে মিশে,
জাগিয়ে রাখিস অন্তরের নিবিড় স্পন্দন,
তোর সুরের মায়ায়, বিচ্ছিন্নতা মুছে ফেলে,
মনের অলিন্দে জন্মায় অনন্তের সঞ্চারণ/ নিঃসরণ।