এই বিশ্ববিদ্যালয়, এই হরিটিকালচার
সারি সারি অগুনতি সবুজ বৃক্ষের চারা
প্রতি বর্ষে বর্ষার আগে রোপিত হয়
দেশের একোণ ওকোণ থেকে বাছা বাছা সব
বৃক্ষের চারা রোপিত হয় মতিহার কাজলার
সবুজ চত্বরে
দেশ- বিদেশ থেকেও আমদানি হয় দুর্লভ
দুষ্প্রাপ্য মেধাবী বৃক্ষের দল।
-
নিত্য নৈমিত্তিক প্রতিটি বৃক্ষের গোড়া নিড়ান
দক্ষ মালীরা(?) দেন সার জল
আছেন কয়েক'শ বিশেষজ্ঞ গবেষণায় মেতে
প্রতিদিন ঠিকুজি লেখা হয়।
-
কোন কোন বৃক্ষ আছে বড় বেশী অকৃতজ্ঞ
মোটেও হয়না ফলবতী,যথাযথ হয়না বিন্যাস
কোনটি বা স্পুলসিসে আক্রান্ত হয়,
আবার কোন কোন বৃক্ষ আছে বড় তাড়াতাড়ি
শাখায় পত্রে ধরে কালীক ফসল
হুলস্থুল ঝড় ঝাপটায়ও নিজেকে সাজিয়ে রাখে
বনেদী পোশাকে আাশাকে ফুলেল সম্ভারে।
-
মতিহার কাজলার সবুজ চত্বরে বড় বেশি বুনো হাওয়া
ওঁৎ পেতে বসে থাকে কালো হাত নিষ্ঠুর কাঠুরের দল
নিত্যদিন সুযোগের সন্ধানে তারা
থাবা মেরে উপড়ে দেবে সাজানো চত্বর।
-
তবু্ও বৃক্ষের সারি স্বদম্ভে টিকে থাকে
পত্র শাখার বিস্তারে
কিছু কিছু বিশ্বস্ত প্রহরীর ছোঁয়ায় আদরে।
১৯৮০
কুষ্টিয়া