আগে প্রতিদিন দেখতাম তাকে
রিসিপশনে বসে কাজ করতো।
দেখতে দেখতে কবে যে ভালো লেগে গেছে
বুঝতেই পারিনি!
আমি প্রতিদিন আসতাম বিভিন্ন কাজের অজুহাতে।
কিন্তু আমার তো কোন কাজ ছিলো না।
আমি আসতাম তাকে দেখার জন্য
একবার তাকে অনুভব করার জন্য।
কিন্তু হঠাৎ একদিন রিসিপশন বন্ধ ছিলো!
সে আসেনি।
মনে মনে খুব কষ্ট হলো।
রিসিপশনের সামনে কিছুক্ষণ
দাঁড়িয়ে থেকে চলে গেলাম।
সেই দিনটি ছিলো বৃহস্পতিবার।
দেখলাম– এলাকার এক গলিতে
বিয়ের গেট সাজানো হয়েছে।
তখনো জানতাম না বিয়েটা কার!
জানার জন্য আগ্রহও হলো না।
কিছুক্ষণ পর হঠাৎ বিয়ের কনের নাম কানে এলো।
নামটা শোনার সাথে সাথে
পায়ের নিচে জমিন কেঁপে উঠলো।
নামটা আমার সেই প্রিয় নারীর
যাকে দেখার জন্য আমি প্রতিদিন
রিসিপশনের সামনে ভিড় করতাম।
আজ বৃহস্পতিবার।
কাল শুক্রবার।
আর কালকেই আমর প্রিয় নারীটা
চিরকালের জন্য অন্য কারো প্রিয় হবে।
কিছু করার নেই।
কিছু কিছু প্রেমিক চিরকাল
তাদের ভালোবাসা নিজের মধ্যে লুকিয়ে রাখে।
তারা তাদের ভালোবাসা প্রিয় জনের সামনে
উন্মুক্ত করতে পারে না।
ইচ্ছে হয়েছিলো খুব জোরে জোরে কান্না করি!
কিন্তু পরক্ষণেই ভাবলাম, তাতে লাভ কি?
সে তো আর ফিরে আসবে না।
যার কথা ভেবে ভেবে আমি
সারারাত কাটিয়ে দিতাম!
কাল থেকে সে অন্য কারো সাথে
রাত কাটাবে।
সে তো জানেও না যে,
কেউ একজন তাকে কতটা ভালোবেসেছিলো!
আজ বেশ কয়েকদিন পর
আবার রিসিপশনে আসলাম।
দেখলাম– আমার প্রিয় নারী এখনো এখানে কাজ করে।
তাকালাম একবার। দেখলাম–
হাতে চুড়ি, নাকে ফুল।
চোখ সরিয়ে নিলাম।
নিজের অজান্তেই একটা দীর্ঘশ্বাস
বুক চিড়ে বেরিয়ে এলো।