কালের চড়কা ঘুরেছে– কলিকালের সন্ধ্যা লগনে,
পুবের মতোই আশ্বিনী চাঁদ উঠেছে ফের গগণে।
মায়ের আগমন! দিকে দিকে তাই বাজে আগমনী
আশ্বিনী চাঁদেই অশুর নাশিনীর হোক জয়ধ্বনি!
মজলুমানের রক্ত দিয়ে দেবীর বোধন হোক পূজা
আয় মা ধরায় রুদ্র রূপে আয় মা এবার দশভুজা!
অন্ধকারে ত্রাস জাগে ঐ বিশ্ব নিখিলের দরবারে
অশুর পশুর দৈত্য দানব ওদের সবার ধর ঘাড়ে।
কল্লা ছিঁড়ে রক্ত পিয়া চন্ডী তোর এই রূপে–
আরেক পূজা উদযাপিত, আঁধার ঘন নীল ধূপে।
খড়গ, চক্র, তীর-ধনুক, শঙ্খ, বজ্র, ত্রিশূল
সর্প, গদা, অগ্নি আর হাতে পদ্মফুল।
রণাঙ্গনের রুদ্রাণী মা তুই তো দুখীর সহায়,
তোর বিহনে অশ্রু ঝরাই আমরা বড়োই অসহায়।
হাজার বছর এমনি গেলো আর কতদিন এভাবেই!
জালিম জুলুম নির্যাতনে বিশ্ব ভুবন কাতরাবেই।