ভুলে যেও না–
অপ নীর বাষ্প ধোঁয়া বিষাক্ত হয়েছে
আকাশে বাতাসে তারই আনাগোনা;
রুদ্র ঝড় কাল বৈশাখীর মতো!
ধরণীর আনাচে কানাচে ছড়িয়ে গেছে
মহাপ্রলয়ের উল্লাস!
ভুলে যেও না!
এটা যুদ্ধের সময়।
কোমল হৃদয়ের কোনো জায়গা নেই এখানে।
প্রেম এবং বিরহ'কে দিয়ে দাও ছুটি!
ছড়া গানের আসরে মারো লাথি।
রাত্রির আবেশ জ্বালিয়ে দাও ক্রোধানলে,
দিকে দিকে ঘোষণা করো– যুদ্ধের ডাক এসেছে!
যুদ্ধের ডাক এসেছে!
রাইফেল হাতে নেওয়ার আগে
সৈন্যদের হৃদয়ে হৃদয়ে গেঁথে দাও একটি বিদ্রোহিনী কবিতা।
কবিতার প্রতিটি ছন্দ, প্রতিটি লাইন
যেন মাইন বিস্ফোরণের মতো বেগ হানে শিরায় শিরায়!
দপদপিয়ে মস্তিষ্কের শিরা উপশিরা যেন
উন্মাদ উন্মুক্ত অধীর হয়ে আসে।
আর তারা বল্গাহীন শত্রু শিবিরে ঝাঁপিয়ে
কুপিয়ে জখম হত্যার ঋণ শোধে!
ভুলে যেও না–
অশ্রু বিসর্জন আমরাও দিয়েছি।
রক্ত আমাদেরও ঝরেছে।
ভাইয়ের লাশ, আন্দোলনরত পিতার লাশ,
সম্ভ্রম হীন মাতা ও ভগ্নির বিক্ষত মৃত দেহ,
আমাদের কাঁধেও উঠেছে।
তবে কিসের এতো দ্বিধা?
ভেঙে ফেলো ঐ লৌহ জিঞ্জির
খাঁচার শিক বাঁকিয়ে হাতিয়ার হোক হাতে হাতে!
বিদ্রোহিনী কবিতার বাস হোক হৃদয়ের অলিন্দে।।