শারদ উৎসবের বেশ কয়েক দিনপর ফিরে এলাম আপন ঘরে। প্রতিদিনের একঘেয়েমি ফেলে এলাম রাস্তার বাঁকে বাঁকে, চলার আনন্দে। আবার শুরু হল প্রতিদিনের কাজকর্ম, প্রতিদিনের লড়াই
বেঁচেথাকার জন্য।
শারদ প্রভাতে দূর্গা আসেন পিত্রালয়ে হয়ত কৈলাশের একঘেয়েমি কাটাতে বা অন্য কারণে যেমন বিবাহিত মেয়েরা বাপের বাড়ি আসেন, তবে আমাদের পুরুষদের বাপের বাড়ি না থাকার জন্য
বেরিয়ে পড়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই এক ঘেয়েমি কাটাবার, তাই যে দিকে চোখ যায় ... উদাসী পথের সীমানায়।
যদিও বাইরে থাকা, কিন্তু মন মাঝে মাঝেই নিজের অজান্তে ফিরে আসে সাময়িক ছেড়ে যাওয়া আবাসে, বন্ধুদের আড্ডার মাঝে,
নিজ শহরের পুজোর মণ্ডপে মণ্ডপে। তাই একেক সময় মনে হয় কেনযে এলাম এই সময় ?
আসলে আমার মনে হয় নিজ ঘর তা যেমনি হোক তার সুখ আলাদা, তা অন্য কোন কিছুই দিতে পারেনা। যাইহোক দূর্গা এলেন, আদর পেলেন, আবার ফিরে গেলেন শিবালয়ে আর আমরাও যারা বেরিয়েছিলাম নূতন বাতাসের টানে, তারাও ফিরে এলাম। ফিরে এলাম আবার প্রতি মুহুর্তে লড়াইয়ের শক্তি সঞ্চয় করে অন্তত এক বছরের জন্য।
অনেক কথাই বলা হলনা এই স্বল্প পরিসরে। দেরী হয়ে গেল, প্রথা অনুযায়ী সব্বাইকে বিজয়ার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাতে, আশাকরি সুহৃদয় বন্ধু, পাঠক সব্বাই নিজ নিজ গুনে মানিয়ে নিয়ে গ্রহণ করবেন বিজয়ার আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা। সব্বাই ভালো থাকবেন নিরন্তর।