কাজ শেষ, তাই করছেন একটু মজা মান্যিগন্যি মহাজনে
বাদুড় কেন ঝুলে ঘুমোয়, হুঁ হুঁ সেই কারণটা কজন জানে ?
কোন বাহাদুর রক্তচোষা, কোথায় থাকলে মানুষ হুলা-ঘাতে মরে
সেই নিয়ে চলে নানা কেত্তন সকালের সব দৈনিকের পাতা জুড়ে।
কেউ আওড়ান উদোর সংলাপ, গনতন্ত্র এক নাট্যমঞ্চ ভেবে
অক্ষাংশের কোন ডিগ্রীতে কি প্রভাব বোঝান দড়ি ধরে মেপে।
পতঙ্গ বাহিত রোগ ভাইরাস নাকি তিথি নক্ষত্রে বাড়ে ! মান্যবরে কয়
কাজ শেষ, অতি-ভবি জ্যোতি-শাস্ত্রে হাত পাকাচ্ছেন নিন্দুকেরা কয়।
জাল ফেলে কেউ ভাবছেন বসে, গাঁ-গঞ্জ কবে হবে বানভাসি
লক্ষ্মী ঠাকরুন উঠলে জালে, আহা আকাশ বাতাসে নাচবে খুশী।
নদী নালা উঠলে ভরে নিয়ম মেনে, স্রোত যদি না খায় ভিটেমাটি
বোল্ডার ফেলার সেরা সময় কোনটা, কে জানে বাস্তু তন্ত্রের খুঁটিনাটি ?
বেনোজলে শিক্ষার ক্ষেত, পলি সরাতে ধুন্ধমার নতুন কুরুক্ষেত্র
তানা পোড়েনেই বাজিমাত, দূষণের মেঘে ভেসে গেলেও শিক্ষাসত্র।
কুচো-কাঁচারা ও নির্দেশ দেয় কোনটা হবে, কোনটা মাখো-মাখো নয়
পরিচালকের মাথায় হাত, ছেড়ে দেগো কেঁদে বাঁচি, লাগে জানে ভয়।
রাস্তা হবে; ধসবে সত্ত্বর, এটা লক্ষ্মী লাভের সরল সোজা পথ
কার দায়িত্ব কে নেবে ? উপরওয়ালা সব জানে প্রকৌশলীর মত।
আসবে উৎসব থাকবে উৎসব, পুরন হবে বাজেটে বাঁধা লক্ষ্য
সোম রসের বিক্রি বাটাই বলে, কোন অক্ষে অর্থনীতির মোক্ষ।
সব কাজেই বিরক্ত আসে যদি না থাকে সেথায় সামান্য মনোরঞ্জন
হলপ করে বলতে পারি উলু খাগড়ার যাচ্ছে প্রাণ, রক্ষা করো ওগো প্রভঞ্জন।
সোনারপুর
২৪/৯/২০২৩