বন্ধ হয়েছে অনেকদিন, সকালের কাগজে চোখ মজেনা নেশায়
টিভির সংবাদে বিপদের নবীকরণ, উটপাখির মত মুখ গুঁজে বাঁচে মানুষ
আতঙ্ক পিছু ধায় অহরহ, দিন রাতের বুক চিরে হুটারের শব্দ
কে গেল, কোথায় গেল, ফিরবে কি আপন ঘরে ? মন আর সত্ত্বায় দ্বন্দ্ব
দূর থেকে আসা সানাইয়ের সুর শুনে অধরা মাধুরী ঊঁকি দিয়ে যায় মনে
তবুও কলম নিশ্চল, ভাসে না সে আবেগের তরীতে খাতার পাতায়।
যে শিশু কালকে জন্ম নিয়েছে, এদিক ওদিক তাকিয়ে খোঁজে চেনা মুখ
ভাবে সকলের কেন মুখ ঢাকা , কেন নেই খুশীর হাসি, আনন্দের ঢেউ
ভাবছে হয়ত, আগে যতবার এসেছে এমন তো দেখেনি কোথাও
কচি গলায় কেঁদে জানতে চাইছে, মা তোমার মুখ দেখতে পাচ্ছিনা কেন ?
শুনতে পাচ্ছে না সে আদুরে সান্তনার ভাষা, দেখতে পাচ্ছে না হাসি
ক্ষোভে দুঃখে চিৎকার করে হয়ত বলতে চাইছে, চাইনা এমন নির্বাক সুখ।
একবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকের শিশুরা কি দেখতে পাবে খেলার মাঠ
বুঝতে পারবে কি স্কুলে যাবার আনন্দ, বন্ধুর সাথে টিফিন ভাগের মজা
স্কুল বাসে হুল্লোড়ে মাতা, আন্টির আদর, খাতা পেন্সিল হারানোর দুঃখ
রাস্তার জ্যামে আটকে বাসের সিটেই ঘুমে ঢোলা, বাড়িতে মায়ের উৎকণ্ঠা
নাকি জীবন বুননের প্রথম থেকে শেষ সুতো কেটে নাইল ডোরায় বাঁচা
বন্ধুহীন বদ্ধ ঘরে মুঠোফোনে অথবা কম্পিউটারে শুরু ও শেষ জীবনের পাঠ।
ব্যাঙ্গোমা ব্যাঙ্গোমি, ঠাকুমার ঝুলি হারিয়ে গিয়েছে বহুদিন আগে
তবুও যা ছিল শিশু মনের খুদকুঁড়ো, গিলছে লোভের অত্যাধুনিক জৈবঅস্ত্র
দীর্ঘ পরিকল্পনায় নিধন যজ্ঞের দাবীদার কারা কারা নিশ্চয়ই জানবে ভবিষ্যতে
এক অক্ষে এক শক্তির কথা এখনি না বুঝলেও, চাপা থাকবেনা কোনমতে
শিক্ষিত শয়তানের হিংসা, শবের লালসায় ক্ষয়িষ্ণু সভ্যতার অনু-ঘটক যারা
আগামীর রোষানলে পাবে না ক্ষমা, হিসাব মেটাতেই হবে ভাগে ভাগে।
সোনারপুর
৮/০৫/২১