প্রখর রোদ ভুলিয়ে দিল কয়েক দিনের সুখের বাসর
নরম ছিল বাতাস, মনে মনে খুশির আবেশ দিল দরিয়ায় নাচ
কেন হটাত মিলিয়ে গেলো কোন মজলিশে পড়ল এমন বাজ
পাহাড় ফুঁড়ে সামনে এলো অসত্য, জমে গেল আকচা আকচির আসর  
বাজার হাট অন্ধকারে ডুবে থাকা খাল বিল বিধায় নদীর তট
সব খানেতেই চড়া সুর, রাজনীতি করবে না, এই চোপ – ফোট  
চায়ের দোকান মুদির দোকান ডাক্তার বদ্যিতে ও এদের ওদের রোগ
মানুষ কি ভাবছে ? মন কি তবে রাজনীতির জাঁতায় পড়ে সইছে দুর্ভোগ !    

দিনের শুরু;  বাসে ট্রেনে ভিড়, যাচ্ছে মানুষ কর্মক্ষেত্রে স্রোতের মত
ঠাসা ঠাসিতে গলদ ঘর্ম, পায়ে পায়ে লাগতেই গোল,  রাজনীতির রং
নানা রঙের ভিড়ে হারায় আসল কথা, চিৎকার হয় অং বং চং
সাধ্য কার বোঝে, হচ্ছেটা কি? আবোল তাবোল কথার যথেচ্ছাচার
কে যে কোথায়, কার হয়ে কে নাচায় টিকি, ব্যাপারটা বুঝে ওঠাই ভার
দুই-চার জন করে খায়, বেশির ভাগ না বুঝেই ঝাঁপায়, রাজনীতির অসার
অভাবের ঘরেও হাসি ছিল কদিন আগে, এখন যেন চুনে পুড়ে ছারখার
জল চাইলেও চলে ছানবিন, দেবার আগে ভাবে আছে কি চাইবার অধিকার ?

কত কথা বাতাসে ভাসে, আইন নিজের হাতে কেউ নেবে না
প্রতিধ্বনি হয় ভিন্ন রকম, প্রতিরোধ করুন;  ছেড়ে দেবেন না
বিশ্বাস না করলে সামাজে নিজ পরিস্থিতি কেমন হবে ভাবুন
রোগ বড় না টোটকা বড় ! সেটা খুঁজতে বদ্যির অবস্থা করুণ
মাদারির খেল রাস্তা ঘাটে খোলা মাঠে, জনতাকে ভুলিয়ে রাখা দারিদ্রতা  
নিরবিচারে মেধার কোতল, নেতা নেত্রীর অপ্রিয় কথাই সময়ের বাস্তবতা  
জনতার দানে মিলেছে সুখ, জনতা সুখে আছে,  কোন আহাম্মুখ বলে তা
সুযোগ পেলে জানতে চাইবে জনতা, ফেলবে ছুঁড়ে ভাগাড়ে ভুলে দায়বদ্ধতা।  

নেতা নেত্রী ভাষণ দেয় অঙ্ক কষে, বার্তা দেয় মানুষের ভালো চাইতে হয়
গুটি কয়েক ধান্দাবাজ ছাড়া, ভালো হয়েছে কাদের ভেবে দেখবেন নিশ্চয়
বছরের পর বছর যায়, আগা থেকে গোড়া,  খুচরো নেতাও করে খায়
জনতার কল্যাণে যতটা বরাদ্দ হয়, তার কতটুকু সুফল সত্যি সত্যি মানুষ পায়
জনসভায় উচ্চ স্বরে যাহা বলা হয়;  রাজনীতির তানা পোড়েনে দুর্বোধ্য বিষয়
কেউ জানে না সেই বরাদ্দ ঠিক কেন, কোথায় কত শত ভাগে পৌঁছায় ?  

গায়ের গন্ধ বা পোশাকের রঙে ও ব্যাকুলতা,  হারা জেতার সমীকরণ
সম্পর্ক কার কোথায়,  আড়ে আড়ে কুস্তি চলে পিছনে কি নবীকরণ ?
দুধে জলে মিলে যায়, চোর ডাকাতের সমর্থন আদায়ে চওড়া হাসি
স্বমতে না এলেই কথার ঢং বদলে যায়, সংযমে যতি, কথায় শানানো অসি
ভাষায় দূষণ শব্দে দূষণ, দূষণের মহামারি মাঠ ছাড়িয়ে ঢুকে পড়ে ঘরে  
খেটে খাওয়া রোদে পোড়া মানুষ গুলো জানেই না, কি হবে এর পরে ?
কার হিংসায়, কার লাঠিতে যাবে কে ? কার ভাগ্যে ছিঁড়বে আঙুর ফলের থোকা
কষ্ট হয় ভাবতে আজো, ইচ্ছে করে চেঁচিয়ে বলি আমরা মানুষ ! নাকি গাধা?  

আমজনতার খাবার খেয়ে যায় অভ্যাসে স্বভাবে নিকৃষ্ট পশু, হায়না
খিদে তার মেটে না কোনদিন, জড় করে রাখে সব সম্পদ, বিবেক দংশায় না
প্রতিটি পাই-পয়সাই শ্রমের ঘামে ভেজা, তবুও সেটা হাতানোর বীভৎস নেশা
অনুগামী নাকি শয়তান ? চক্রের জাল বুনতে বুনতে বানিয়ে ফেলেছে পেশা
অযোগ্যের জাঁতাকলে যোগ্যের জীবন অন্ধকার, তবুও তুমি আমি সব্বাই নির্বিকার
কার ছায়াতে বসে এত দুরাচার, কোন প্রেমে জন্মান্ধ কে? হয়নি কি সময় ভেবে দেখার
বিচারের খেয়া অনেক দূরে, গিট খুলতে খুলতেই নতুন প্রজন্ম করে হাহাকার
সময় পেরিয়ে যায় যোগ্যতার মূল্য না পেয়ে, ভাষণের সুখ জোটে না সবার।  

সেই দিন আসছে মানুষ শুনবে না ভাষণের কচকচি, বলবে ঝুট মাত বোল
অনেক সহেছি অনেক মেনেছি এবার হাতেই উঠাবো হরিবোলের জন কলরোল
চেতাবনি নয়, প্রয়োগ হবে মাঠে ময়দানে ক্ষেতে ও খামারে হিসাব মেটানোর রোল
যেখানে যেভাবে মিলবে সুযোগ জনতার, নিশ্চয়ই বন্ধ করবে ক্ষমতার ডামাডোল
মরার আগে প্রতিকার করে যাবে গণদেবতা আগামী প্রজন্মের কথা ভেবে
ঠান্ডা ঘরের দেওয়াল ভেঙ্গে তছনছ করে, জনতা এবার উঠবেই জেগে  
ভেবে দেখো ভন্ডামির টিকিতে পড়বেই টান, সুদীর্ঘ সময়ের কর্মের অভিশাপে
সবাই বলবে এই চোপ, মিথ্যা প্রতিশ্রুতির জবাব চাইবে যেখানে যাকে পাবে।
    
সোনারপুর
১৭/০৪/২০২৪