আকৃতি যেমনই হোক, পরিচিতি তার এক নামেই, ভাঁড়
দু-চার ফোঁটা যাই হোক জমা, অর্ধেক তার করে সাবাড়
সরস কিমবা কঠিন হজমে হয় না গোলমাল, নির্বিকার  
মানুষ করলে ও হায় হায়, নীরবে করে সুযোগের ব্যবহার।    

মুখ বড়, মোটা পেট, ঘাড়ে গর্দানে, কেউ বা বলে হাঁড়ি  
গরীব গুরবোর খানা খাজানা সব অকপটে করে চুরি  
লজ্জা উধাও, নীতিতে শূন্য যেখানে যেটুকু আছে ক্ষমতা  
চারশো বিশের প্যাঁচ ও বেকার, সব ধাপেই সমঝোতা।  

ঢক ঢক শব্দে গর্জায় ভাঁড়, অকারণে হলেও নেই বারণ
অপরাধ বিজ্ঞানে ও অধরা, শব্দা-উৎসের প্রকৃত কারণ  
আধুনিক প্রশিক্ষণে পক্ত ভাঁড় সহজে ভাঙে না আঘাতে
ডাব্বা বদল, আজ এখানে কাল ওখানে, সময় থাকতে।  

ভাঁড়ে ভাঁড়ে ছয়লাপ বখরার ভাগ নিয়ে ঠোকাঠুকি আছে
সর্ষেই যদি ভুত থাকে, ওঝার কি সাধ্য তায় ভুত বাছে    
হাটে বাজারে শ্মশানে সমাধি ক্ষেত্রে সর্বত্রই সে বিদ্যমান
হয়ত মানুষ চায়, নানা গুনে গুণী ভাঁড়ের নেই জাত্যাভিমান ।  

সোনারপুর
২৮/০৯/২০২৩