ভালো ছিল দিন গুলো; ভালোবাসা ছিল মনে, না থেকেও ছিল সব
স্নেহ মমতায় মাখা দিন ছিল, ছিল না মনে মিথ্যে সুখের কলরব।
ছুটির দুপুর ছিল বড়ই মধুর পালিয়ে কজনে, এড়িয়ে বড়দের চোখ
পেটভরে ভাত খেয়ে; কার গাছে কি আছে খাওয়ার চাপত তবু ঝোঁক
আম জাম জামরুল পেয়ারা ফলসা যেদিন যা মিলত কারো বাগানে
ছুটির দুপুর গাছেই যেত কেটে, ধোলাইয়ের ভয় থাকলেও মনে
কখনো পড়লে ধরা কান ধরে উট-বোস, টকা-টক গাঁট্টার সাজা
সামলে যেত সব কাঁচা পাকা স্বাদে, পানসে হতো না সে মজা ।
বর্ষায় কাদা মাঠে বল নিয়ে হত লাথা-লাথি, কাদা মেখে সব ভূত
দশটার পরে ছুটির দিনে, শেওলা মাঠে কবাডিতে হতো হাসির জুত
তেঁতুলের ডালে ঝুলে পুকুরে ঝাঁপ , চোখ হত লাল ডুব সাঁতারে
বাবা মা আসলে তেড়ে কঞ্চি হাতে, হাঁক দিত কেউ, ওরে পালারে
পড়লে পিঠে কঞ্চির বাড়ি, ঠাকুমা ঠাকুরদা বলত, আহা থাক থাক
স্নেহের পশ্রয়ে মুছে যেত ব্যথা, মিলিয়ে যেত সব কঞ্চির দাগ।
ভালো ছিল দিন গুলো; বন্ধু ছিল মনের মত, না থেকেও ছিল সব
ভালোবাসা ছিল প্রাণে প্রাণে, ছিল না কোন মনে হিংসার কলরব।
সোনারপুর
৫/৬/২১