খুব কষ্ট করে জীবন ঘড়িটা কে ছন্দে রেখেছি,
এখনো চলেছি এঁকে স্বপ্ন সাধনার রঙধনু,
এখনো বিধ্বস্ত ভূমি কর্ষিত করি
সোনালী ফসলের জন্য।
এ আমার অন্য রকম জীবন,
অন্য রকম চলা।
এমন নির্জনতায় নিঃসঙ্গ বসবাস,
দীর্ঘশ্বাস সাথী হয়ে আছে।
আমার এমন জীর্ণ দশা দেখেও
সহানুভূতির বদলে
তোমরা সদলে ছুড়ে দাও বিষাক্ত ফলা।
চেতনার স্তরগুলো পদ্মা পাড়ের মত
ভেঙ্গে পড়ে,
হঠাৎ ঝড়ে নড়বড়ে হয়ে যায় জীবন তরী।
অতঃপর আবার জোড়াতালি দিয়ে চলি।
আর মনে মনে বলি-
সূর্য ডোবার আগে
আমার আমিকে টেনে নিয়ে যেতে হবে
তপ্ত মরুভূমি পেড়িয়ে,
মরুদ্যানের শীতল ছায়ায়।
সরোবরের মায়ায় বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে
ছুটে চলেছি তৃষ্ণার্থ এই আমি
পান করব বলে স্বচ্ছ নীল জল।
হয়ত পেতেও পারি সুস্বাদু কিছু ফল,
ক্ষুধা মিঠে তৃপ্ত হবে মন।
ক্ষতি নেই, তারপর হোক না মরণ,
তখন তো আর-
অতৃপ্ত আত্মার আর্তনাদ শুনতে হবে না।
আমি জানি, অতটা সময় ধরে
কেউ কাউকে মনেই রাখে না।
কিছু বছর পরে এই আমাকে
আর কোথাও খুঁজেই পাবে না।
তাহলে কেন বল
বঞ্চনার বেড়াজালে আবদ্ধ হয়ে
নিজেকে যুপকাষ্ঠে বলি দেবো?
নিষিদ্ধ গন্ধবের আস্বাদন নিয়ে
প্রয়োজনে বিদায় নেবো,
তোমাদের স্বর্গ হতে স্বর্গ চ্যুত হবো।