পাহাড় চূড়ায় দিতে যদি ছোট্ট কুড়ে ঘর।
শয্যা হতো বাঁশের তৈরি মাচানের উপর।
বেড়ার ফাঁকে আলো বাতাস করতো এসে খেলা।
আনমনাতেই হারিয়ে যেত সকাল, দুপুর বেলা।
বৃক্ষরাজির বুকের ভেতর থাকতো কুঠির খানা,
সময় কিংবা অসময়ে কেউ দিতো না হানা।
ক্ষিধে পেলেই কুড়িয়ে নিতাম বনের বুনো ফল।
তৃষ্ণা আমার মিটিয়ে দিতো ঝরনা, হ্রদের জল।
দেখতে পেতাম পাখিরা সব উড়ে কেমন করে?
কেমন করে সবুজ পাতা শুকনো হয়ে ঝরে?
কোন বেদনায় আকাশ বুকে নীলকে ধরে রাখে?
বৃক্ষ শাখা হাতছানিতে কা'কে কাছে ডাকে?
ফুলগুলো সব কেমনে ফুটে, কেমনে ঝরে যায়?
মৌমাছিরা মধুর লোভে পরাগ মাখে পায়?
দেখতে পেতাম মাটি ফুড়ে উঠছে সবুজ ঘাস।
দেখতে পেতাম ফিরছে নীড়ে সারস, বালিহাঁস।
বিদায় বেলা সূর্য কেন আবীর দিয়ে যায়?
শুকতারাটা তাকিয়ে থাকে কোন সে মমতায়?
পূর্ণিমাতে চাঁদের আলো রূপো কোথায় পায়?
শীতের দিনে পাহাড় কেন শিশির মাখে গায়?
মেঘগুলো সব কান্না করে শোকের গাথা কয়।
ফুল ফুটে আর কোকিল করে বসন্তেরই জয়।
আঁধার রাতে তারারা সব কেমন করে ফুটে?
পূব আকাশের ওড়না ছিঁড়ে সুর্য কেমনে উঠে?
তোমার সাথে কথা বলে কাটতো আমার দিন।
চুকিয়ে দিতাম এই জীবনের জমানো সব ঋণ।