সুনিবিড় সম্পর্কগুলো অনুবীক্ষণীয় কারণে
কি সুন্দর ভাবে ভেঙ্গে যায়!
নির্দ্বিধায় ক'টি শব্দ চয়নে
বলে ফেলি-
বিদায়।
অথচ এমনভাবে
সম্পর্কের সাঁকোগুলো গড়ে উঠে না।
সবাই একইভাবে জীবনও দেখে না।
হাজার চেষ্টা করে-
স্বাধীন সত্ত্বার পরমাণুকে
কিছুতেই বোসন কণায় রূপ দেয়া গেলো না।
আর তা করতে গেলে
স্বকীয়তা বলে কিছু থাকে না।
এ'জীবনে হয়তোবা
সব কিছু জল দিয়ে লেখা হয়েছিলো।
তাই এই পড়ন্ত বিকেলে
নিস্তেজ আলোর উষ্ণতায় উবে গেলো।
এ'জন্য দুঃখ করি না।
অভিযোগ, অভিমান!
তা-ও না।
বিষন্ন বিদায় বেলা
প্রত্যাশার প্রজাপতি মরে যাক।
মুক্তি পাক ভবঘুরে বৈরাগ্য মন
মায়ার বাঁধন কাটিয়ে।
একবার পথে নামে যে,
সে আর সহজে ফিরে না।
তাই তোমরা খুঁজো না আমাকে।
স্বেচ্ছায় হারিয়ে গেলে-
কে কখন খুঁজে পায় কাকে?

মনে নেই কোন এক সোনালী সকালে
প্রথম রেখেছি চিহ্ন পৃথিবীর 'পরে
বাবার বক্ষ থেকে নেমে।
অতঃপর বহু পথ পাড়ি দিয়ে
মৃত্যুদূত সাথে নিয়ে
আজ আমি দাঁড়িয়ে
আবির ছড়ানো পড়ন্ত বিকেলে।
এই যে দীর্ঘ ভ্রমন-
কতজন ছুঁয়ে গেছে মন।
কতজন এসেছিলো কাছে!
গ্রহাণুর মত পাশ দিয়ে চলে গেছে।
আর আসবে না।
আমিও দিগন্ত রেখা ছুঁয়ে
বিদায়ের জন্য দাঁড়িয়ে,
কেউ আর না বলো না।