তোমরা ভালো থাকো।
ভালো রাখো কাছের স্বজন।
আমি আমার কষ্টবোধের কথাগুলো লিখে রাখি।
ডাইরির কিছু পাতা এখনো যে বাকী।
আমি আছি বন্দিদশায়,
আদিম এক বিষন্ন গুহায়।
রোদের উষ্ণতা আসে না এখানে।
চাঁদের স্নিগ্ধতা নেই।
ঝর্ণার হাসি, রাখালের বাঁশি, পাখির কুজন
এখানে উদাসিন করে না তো মন।
আরো কত কিছু আছে ছবির মতন!
ঋতু পরিবর্তন-
কখন যে হয়, জানি না এখন।
শৃঙ্খলিত জীবনের মাঝে-
আলো আঁধারের সাঁঝে
বেঁচে থাকার প্রয়াস আমার
বিরুদ্ধ বাতাসে; প্রতি নিঃশ্বাসে।
তোমাদের ডানা আছে
মুক্ত বিহঙ্গের মতো।
যতো পারো নীলাকাশ হতে
সুখের আবেশ কুড়াও।
অবারিত মাঠে উড়াও রঙিন ঘুড়ি।
ইচ্ছে হলেই যেতে পারো নীলগিরি,
ইচ্ছে হলেই মেহেশখালীর বাঁকে।
যেখানে শঙ্খচিল ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে।
ইচ্ছে হলেই প্রবাল দ্বীপে
নীল জল ছুঁয়ে আসো,
কখনো বা নরম তিনটি কুঁড়ি
পরম মমতায় ভালবাসো।
কখনো বা সাগর সৈকতে-
সোনালী রোদ গায়ে মাখো।
তোমরা ভাল থাকো।
কখনো সময় হলে,
কখনো বা পথ ভুলে গুহার আঁধারে এলে-
হাতের মুঠোয় করে নিয়ে এসো-
কিছু আলোর কণা, কিছু উষ্ণতা,
কিছু সবুজ, কিছু নীলজল,
কিছু বিশুদ্ধ বায়ু, আর কিছু সুস্বাদু ফল;
আমার বাঁচার জন্য খুব প্রয়োজন,
এখন। দেখো না, চারপাশটা কত নির্জন!